পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চভূতের বশীকরণ করার চেষ্টায় আছেন। আকাশের সে গল্প পরে হবে ; এখন ভূতলের কথা চলুক। একবার ভুচিত্রকে বায়স্কোপে চড়িয়ে সচল করার কল্পনা করা যাক, যাতে করে ভূগোল-ইতিহাসের খেলা মানসচক্ষে এক সঙ্গে দেখতে পাওয়া যাবে। তবে, যে সব ঘটনা ঘটতে এক-আধ যুগ লাগে সেগুলোকে এক নজরে দেখে নিতে হলে ছবির কলটাকে বেজায় তাড়াতাড়ি চালাতে হবে । বিজ্ঞানীমহলে একবার কথা উঠেছিল, মার্কিন মহাদেশ ধীরে, অতি ধীরে, এসিয়ার দিকে ঘেষে আসছে। কথাটার সত্যিমিথ্যে নিয়ে মাথা বকিয়ে লাভ নেই, আমাদের নাতির নাতির আমলেও ধরাছোয়ার মতো কিছু দেখা যাবে না। কিন্তু আমাদের বায়স্কোপে এ কল্পনার ছবি চাপালে মহাদেশ-দুটোর পরস্পরের ঘাড়ে পড়াটা এ পালার মধ্যে দেখে নেওয়া যেতে পারে। আবার উলটো দিকে ঘোরালে এ রকম কাছে বুকে আসার কারণটাও আর এক বিজ্ঞানীর কল্পনায় প্রকাশ পাবে। তিনি মনে করেন ঘটনাটা সেই পুরা কল্পের, যবে জাকালে কোনো জ্যোতিষ্ক অতিথির টানে পৃথিবীর একমাত্র পুত্র চাদ, মায়ের কোল ছিটকে বেরিয়ে, প্রশাস্ত মহাসাগরের অতল গহবরে আপন স্মৃতি রেখে যায়। এই বিপুল ক্ষত ক্রমশ জুড়ে আসাটাই দুই মহাদেশের ক্রমশ কাছাকাছি আসার কারণ । এ সব কল্পনার উপর ঝোক না দিয়ে ভবিষ্যতে ঠোকাঠুকির ফলটা বরং আলোচনা করা যাক। বিপরীত দিকে চলতি দুই ট্রেন বাকা খেলে যেমন মাঝের গাড়িগুলো খাড়া হয়ে ওঠে, মহাদেশের বেলা তেমনি দেখা যাবে, যে-কিনারা দুটো ভীষণ ঠাসে ঠেকবে, তাদের তলায় স্তরে, স্তরে যেসব পাথরের ভিত আছে তার চচ্চড় ক’রে বেঁকে চুরে ঠেলে উঠবে, মধ্যিখানের \98