বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চভূতের বশীকরণ

দলে পুরু হয়, সে বুক ফুলিয়ে চলে, নয়তো একহারা হয়ে সরু থাকে।

 পাহাড় থেকে মাটি বয়ে নিয়ে আসার সময় তারি পলি ফেলতে ফেলতে নদী দুধারের জমি তাজা রাখে, কিন্তু বুড়ো বয়সে পলির ভারে সে নিজের পথ নিজেই আটক করে, তাই তখন একবার এ পাড় একবার ও পাড় ঘেঁষে তাকে টলতে টলতে চলতে হয়। এই অবস্থা হয়েছে আমাদের বুড়ী পদ্মানদীর, যেজন্যে সে আজ এক পারের গ্রাম ভেঙে অপর পারে চড়া ওঠায়, কাল চড়া কেটে গ্রামের ধারে মাটি ফেলে। শেষকালে নদী সমুদ্রের ভিতর যেসব সার ঢালে তাতে প্রচুর ঝাঁজি শেওলা জন্মায়, সেগুলো মাছে খায়, মাছকে আবার মানুষে খায়। আগাগোড়াই নদী মানুষের সেবক।

 কারাকুমের ভিতর দিয়ে চলেছে আমুদরিয়া নদী, সেটা উত্তর-পশ্চিম রোখে চলতে চলতে মাঝে উত্তর দিকে মোড় নিয়ে আরল সাগরে গিয়ে পড়েছে। অনেক কাল আগে এই নদী বরাবর পশ্চিম মুখ ধরে কাশ্যপ সাগরে পড়ত, তার চিহ্ন দেখা যায়। পুরানো চীন ফারসী গ্রীক পুঁথি মিলিয়ে জানা গেছে যে, পাঁচ ছ’ শতাব্দী অন্তর এই আমুদরিয়া একবার এ পথ দিয়ে একবার ও পথ দিয়ে চলে আসছে। এখনকার পথটা ১৫৭৫ সালে ধরেছিল, আবার দু’তিন শ’ বছর পর কাশ্যপ সাগরে তার ফিরে যাবার কথা।

 আরল সাগরের পথে শুধু বালি, নদীর জল পেয়ে তাতে ফসল ফলালেও, নদীর ধারে শহর গড়ে ওঠার সুবিধে নেই। কিন্তু আমুদরিয়া পশ্চিমমুখে চলতে থাকলে, গন্ধক, পাথর-তেল, আরো কারবারের উপযোগী অনেক জিনিস পথে পড়ে। এই সব থাকায় আগের বারে যে শহরগুলো উঠেছিল তার টুকরো-টাকরা আজও বালির মধ্যে পড়ে

৩৬