পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চভূতের বশীকরণ জলটাকে তুলে ধরলেই তো হয়। ইতিহাসে ভূগোলে তথ্য খোজার পারিশ্রমিক এই সহজ উপায়টি USSR পেয়ে গেল। তবে কিনা, ভাবলেই ভাবনার কারণ জোটে। নদীর কাপ্তাপ সাগরে যাবার পথের মধ্যিখানে এক প্রকাও গাঢ় আছে, যেটা নদীর জলে ভরে গেলে একটা মস্ত বড়ো হ্রদ হবে—আগে তাই ছিল, তার লক্ষণ পাওয়া যায়। এ পথে নদী চালালে এই গহবর ভরা পর্যন্ত অপেক্ষা করে বলে থাকতে হবে, পরে ওপার দিয়ে নদী বেরিয়ে চলতে কত বৎসর যে কেটে যাবে তার ঠিকানা নেই। তাড়াতাডি কাজ সারতে হলে খাদের ভিতর দিয়ে দুই পাড় বাধাই করে নদীকে ওপারে আস্ত পৌঁছে দিলে তবেই পাচ সাত বছরের মধ্যে ওর কাশুপ-সাগর সংগম ঘটবে। তখন সেই ক্র্যাস্নোভড স্ক শহরে আর জাহাজে করে খাবার জল আনা লাগবে না । কাশ্বপ সাগর রুশের মহা উপকারী জলাশয়—পূব-দক্ষিণের লুঙ্গাধি থেকে অপর পারের উর্বর প্রদেশের ফসল বাচিয়ে রাখে বলে নয়, সমস্ত রুশরাষ্ট্রের আদ্ধেক মাছ সরবরাহ করে। তবে মুশকিল হয়েছে কী, এ সাগর আর সাগর নেই, হয়ে গেছে হ্রদ। যে সময় ভারতবর্ষের মাথায় হিমালয় পাহাড়ের সার ঠেলে ওঠে, এ ঘটনাও সে সময়কার। বার সমুদ্রের সঙ্গে যে যোগ ছিল, তা বন্ধ হওয়া অবধি এর জমাখরচের হিসেৰ গোলমাল হয়ে গেছে। সাগরজলের খরচের মধ্যে— যে-ভাপ হাওয়ায় টেনে নেয় ; জমার মধ্যে— যে-জল নদীগুলো ফিরে আনে। সব সমুদ্র সব নদী ধরলে জমাখরচের মিল থাকে, জল মোটের উপর কমেও লা বাড়েও না ; সমুদ্রে সমুদ্রে যোগ থাকায় এক সময় কোথাও বেশ-কম হলে স্রোত চলে ঠিক করে দেয়।