পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলের কথা কিন্তু হ্রদ যদি আপনাকে আপনি সমান না রাখতে পারে, তাহলে ক্রমশ গুখোয়। হাওয়া তো জল টানতে কমুর করে না, যত ফলাও পায় তত টানে। জলের সে ক্ষয় সমুদ্র থেকে পূরণ না হওয়ায় যে ক'টি নদী ভিতরে এসে পড়ে তারাই ভরসা। জল যেমন কমে, হ্রদের প্রসারও কমে, তাতে হাওয়ার জল-টানার ক্ষেত্রও কমে । শেষে উবে-যাওয়া জলে নদী-আনা জলে সমান সমান হলে, হ্রদের একটা লেভেল দাড়িয়ে যায় । - কাশুপ সাগরের হয়েছে সেই দশা । একঘরে হবার পর থেকে শুখোতে শুখোতে আসল সমুদ্রের লেভেল থেকে প্রায় পঞ্চাশ হাত নেমে গেছে, এখনো অল্পে অল্পে নামার দিকেই চলছে। কিন্তু আর কমে গেলে জল এত নোনা হবে যে, ভালো মাছ আর টি-কবে না ; ধারে যেসব বন্দর আছে তা থেকে জল সরে গেলে তারা কাজের বার হয়ে যাবে ; রুশের বাসিনারা নানান ফেরে পড়বে। তাই USSR-এর রায় বেরিয়েছে—*কাশুপ সাগরকে জল খাইয়ে বাচিয়ে রাখতে হবে।” পুবদিক থেকে আমুদরিয়াকে আবার এনে ফেলার কথা তো বলা হয়েছে। পশ্চিম দিকে আপনি এসে পড়ছে মস্ত লম্বা বল্লা নদী। এমনিতেই বড়ো-সড়ো হলেও এর জল আরো বাড়াবার প্রস্তাব হচ্ছে। এখার ওধার থেকে শাখা টেনে নিয়ে তা কতক হতে পারত, কিন্তু জাকালো ভাবে কাজটা না করলে USSR-এর উপযুক্ত হবে কেন। রুশের যে অংশ য়ুরোপের মধ্যে পড়ে, তার উত্তর সীমায় শ্বেতসাগর আর উত্তর-মহাসাগর ; দক্ষিণ সীমায় কাশুপ-সাগরের মাথা, আজব সাগর আর কৃষ্ণসাগর। এ প্রদেশের মাঝামাঝি পুর্বপশ্চিম লম্বা এক অধিত্যকা আছে, যার থেকে দক্ষিণমুখী বল্লা নদী পূব ঘেষে কাশুপসাগরে পড়ে, আরডন নদী পশ্চিম দিয়ে আজব-সাগরে গিয়ে পড়ে। \లిసె