পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চভূতের বশীকরণ এই নদী দুটো আঁকতে-বাকতে এক জায়গায় অনেকটা কাছাকাছি এসে পড়েছে, সেখানে খাল কেটে যোগ ক’রে দিলে ডনের অনেক জল বল্লার ভিতর দিয়ে কাশুপ সাগরকে দেওয়া যায় । কিন্তু রোসো। তাতে উদেীর গাট কেটে বুদের পকেট ভারি কর} হবে না তো ? না, সে ভয় নেই। নদীর জল ক’মে গেলেও আজব সাগরের তত যায় আসে না, কারণ সে সত্যিকার সাগর, কৃষ্ণ সাগরের ভিতর দিয়ে বার সমুদ্রের সঙ্গে তার যোগ আছে । তা যেন হল কিন্তু যে জমি ডন-নদীর জলের উপর নির্ভর করে তার কী হবে। সে ভাবনাও করা হয়েছে। জমাখরচ খতিয়ে দেখা গেছে, ডনের বিস্তর ফালুতে জল আছে, যা আসল কাজে না লেগে বাজে বঙ্গয় লোকসান হয়ে যায়। তবুও আজব-সাগরের বড়ো বড়ো চিংড়ি কাকড়ার খোরাকের কমতি না পড়ে, সেটা মনে রেখে ডনের জল নেওয়া হবে । মাথা যদি ঘামানোই হল, তবে একা ডন-নদী নিয়েই বা কেন। ঐ প্রদেশে আরো কত নদী আছে। ছোটোগুলি ছেড়ে দিলেও, মাঝের সেই উচু ভূমির উত্তর দিয়ে ডুইনা-নদী শ্বেতসাগরে আর পেটচোরা নদী উত্তর মহাসাগরে চলেছে। অন্ত ডাঙার মতো ত্বধিত্যকার জমিও দাড়ে খালে ঢেউ-খেলানো। তবে দাড়াগুলো কোথাও পাহাড়ের মতো, কোথাও বা উচু মাঠ হয়ে রয়েছে ; লম্বা টানা খালে স্রোতা বইছে, চওড়া গহবর বিল হয়ে আছে। এই রকমারি অবস্থার স্বযোগ নিয়ে, কতক কেটে, কতক বেঁধে যদি দু’একটা বড়ো গোছের হ্রদ তৈরি করা যায়, যাদের সঙ্গে লক-গেট দিয়ে উত্তরবাহিনী দক্ষিণবাহিনী যত ছোটো বড়ো নদী সব যোগ করা থাকে, তাহলে কৃষ্ণসাগর থেকে শ্বেতসাগর 8 е