পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চভূতের বশীকরণ নিরাপদ জায়গা পেয়ে মিস্ত্রী-মজুর আনার উদ্যোগ করছে, হেনকালে লম্বা পুথি বগলে মাছবিৎ এসে বচলা লাগালে :

  • কী করা হচ্ছে ?”
  • বাধ বাধছি, মশায়।”

“এখানে বাধ ?” “আজ্ঞে, তলা পরখ করেছি, ঠিক আছে।” “রেখে দিন আপনার তলা । মাছের কী হবে তাই ভাবুন। পেটে ডিম নিয়ে যে মাছ উপরে উঠছে, তাদিকে এখানে আটকে দিলে ডিম পাড়বে কোথায়, পোনাই বা বাড়বে কোথায়। নদী নিয়ে ছেলে, খেলা করলে জীবের প্রাণ যাবে।”

  • আচ্ছা, অত কথায় কাজ কী, আমাদের দুজনেরই মনের মতো জায়গা দেখা যাক ৷”

ঘোরাঘুরি করে যদি তা পাওয়া গেল তখন কাগজের তাড়া হাতে চাষবিৎ এসে খেকিয়ে উঠল : “বলি, এখানে জল উচু করলে বর্ষার সময় তল্লাট হেজে যাবে যে। তখন দেশে কত হাজার বস্তা ফসল ঘাটতি হবে, সে খবর কি রাখতে নেই।” “বেশ, বেশ, আপনি না হয় ঠিক জায়গা বাতলে দিন”— এই বলে তার সঙ্গে রফা হতে না হতে, ই ই করে হাজির হল নাবিক । -

  • ৰতারা বাজে তর্ক করেন কেন । এখানেই বা কী, ওখানেই বা কী, বিনা-গেটের বাধ যদি তোলেন, নৌকো পার হবে কেমন্সে। জলপথে মাল চলা বন্ধ হলে ঢোলাই খরচে সব খেয়ে নেবে ষে।”

নানা-বেত্তা সংকট দেখে অবশেষে সমবায়ী উপস্থিত হয়ে সদরে তার }Ꮈ