কিন্তু চাষার পোড়া প্রাণ জুড়োয় না। বৈদ্যুতের যুগল ধর্ম এই যে, দামীতে দামীতে নয়, দামিনীতে দামিনীতে নয়, মেলে শুধু দামী-দামিনী। তাই মিলনানন্দের বারি ঝরাতে হলে বিপরীত ভাবের বৈদ্ধ্যত ভরা দুই মেঘের সাক্ষাৎ লাভ হওয়া চাই—তবেই বিরহের ঝাঁজ উৎসবের রোশনাই আর দামামা বাদ্যে মেটে।
কিছু কাল আগে, আকাশে ক্রমাগত আতশ-বাজি উড়িয়ে, উপর মুখে কামানের আওয়াজ করে, হাওয়ায়-মেশা ভাপকে জল করার চেষ্টা হয়েছিল। সারাদিন ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর, সন্ধ্যে নাগাদ ফোঁটা কতক বৃষ্টি হল বটে, কিন্তু মজুরি পোষাবার মতো মোটেই নয়। বিজ্ঞানীদের কিন্তু মাকড়সার স্বভাব। তাদের মনের মধ্যে যে সব থিওরি ভন্ ভন্ করে বেড়ায় সেগুলোকে ধরা-ছোয়ার মধ্যে আনতে পরীক্ষার যে জাল পাতেন, তা বার বার ছিঁড়ে পড়লেও তাঁরা ছাড়েন না। তাঁদের মহামন্ত্র হচ্ছে try, try, try again! মেঘের কাছে ইচ্ছা-বৃষ্টি-বর আদায় না করে বিদায় নেবেন না, এই ভীষণ পণ করে তাঁরা লেগে আছেন।
তার পর বেরল এরোপ্লেন। তাতে করে উপরে ওঠা তত শক্ত নয়, উপরে নিরাপদে থাকাটা সব সময় ঘটে না।
কেন, মুক্ত আকাশে আবার কিসের বাধা।
এক বিঘ্ন হচ্ছে মেঘ। তার মধ্যে ঢুকে পড়লে দিকভ্রম হতে পারে, দামী-দামিনীর মাঝে পড়ে এক চোট বজ্র খেতে হতে পারে, পর পর ভারি-হালকা হাওয়ার বিভ্রাটে যন্ত্রটি মাটি পানে হঠাৎ ছোঁ মারতে পারে। এই সব বেগতিক দেখে মেঘের সঙ্গে এরোপ্লেন-চালকের লাগল ঝগড়া।
সেই হ্যাপায় পাঁচ রকম পরীক্ষা করতে করতে একজন এরোপ্লেন হাঁকিয়ে মেঘের ভিতর এক বস্তা মুন ছিটিয়ে দিলে, তাতে তিন-চার মাইল-জোড়া মেঘ দেখতে দেখতে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। বৃষ্টি আনার
৪৭