আকাশের কথা
আবার উদ্ভিজ্জ না খেলে পশুপাখি শরীর রাখার মসলা পায় না, তা থেকে যা দরকার নিয়ে বাদবাকি ময়লা বলে ফেলে দেয়। সেই ফেলা জিনিস দিয়ে মাটি উদ্ভিদকে সার যোগায়। আরো দেখো গ্রামবাসী শহরকে পেটের খাবার সরবরাহ করে, শহর পাড়াগায়ে মনের আহার পাল্টা পাঠায়। শিষ্যকে গুরু নিজের সম্পদ দিয়ে আনন্দিত করেন, শিষ্যের আনন্দ দেখে দ্বিগুণ আনন্দে আরো দিতে থাকেন, আনন্দের এই চক্রবৃদ্ধি বাড়ে দুজনে মিলে ভূমানন্দের সন্ধান পান।
কিন্তু কিসের থেকে কোথায় এসে পড়া গেল? শিবের গান তো করতে বলা হয়নি এখানে বলবার কথাটা এই ছিল— নদীকে পুষ্ট করে বৃষ্টি, বৃষ্টিকে আনতে হলে বৈদ্যুত লাগে, আবার পুষ্ট নদীর সাহায্যে বিজলী তৈরি হতে পারে।
নদীর জল চালাচালির সময় USSR এই চক্রের কথা ভোলেননি। যেখানে, নদীর প্রপাত আছে, যেখানে লম্বা ঘোরালো বাঁকের দুই মুড়ো খাল কেটে জুড়ে দিলে জলের তোড় বাড়ানো যায়, সেই সেই জায়গায় একটা করে বিজলী-তৈরির শক্তি-ঘর তোলা হচ্ছে। এক পক্ষে যেমন নদীর জলের জাল, অন্য পক্ষে তেমনি বৈদ্যুত তারের জাল; কোথাও কখনো কম পড়লে, যেখানে বেশী—সেখান থেকে অভাব পূরণ হতে পারবে।
এবার তাহলে, আর খাল-কেটে বাঁধ বেঁধে নদীর জলকে খোশামোদ ক’রে আনা নয়। শত-হস্তীর সহস্র-ঘোড়ার শক্তি ধরে এমন সব বৈদ্যুতপম্প বসে যাবে, যারা মাত্র সুইচের ইঙ্গিত পেলে, পাহাড়ী ঝরনাকে লজ্জা দিয়ে, এখাল থেকে ওখালে, নিচের নদী থেকে উপরের হ্রদে হুড়হুড় করে জল তুলবে ফেলবে।
আরো উপরের কথা হল, আকাশ থেকে সোজাসুজি জল নামানো।
৪৯
বি-ল.-৪