পঞ্চভূতের বশীকরণ
সে-হিসেবে পাহাড়কে ভূতালয় বলাও চলে। শোনা যায় পাহাড়ী জাতদের বড্ড ভূতের ভয়—কিন্তু সে-ভুত এ-ভূত নয়।
কখনো কখনো রত্নের খনি দৈবাৎ ধরা পড়ে। রুশের উরল-পাহাড়ে একবার একটা বড়ো গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়ে। পাহাড়ী চাষারা তার শিকড়-জড়ানো দুএকটি পান্নার পাথর পেয়ে, শিকড়ের গর্তের মধ্যে আরো খুঁড়তে খুঁড়তে পান্নার খনিতে পৌঁছে গেল। মার্কিন দেশে এক ডোবার উপর তেল ভাসছে দেখে নল চালিয়ে পাথর-তেলের উৎস বেরিয়ে পড়ল। আমাদের দেশেও পাহাড়ের গায়ে রাস্তা করতে বা পাথর কাটতে মাঝে মাঝে নানান ধাতুর সন্ধান মেলে।
কিন্তু দৈবের উপর নির্ভর করে বসে থাকলে আবিষ্কারের কাজ কচ্ছপের চালে চলে, বিজ্ঞানকে সহায় করলে খরগোশের মতো দৌড়তে পারে। টাকার ব্যাগ হারিয়ে এলে তাকে হঠাৎ কোথাও কুড়িয়ে পাওয়ার আশা খুব কম, বিধিমতে খুঁজতে গেলে ভাবতে হয়, কোথায় যাওয়া হয়েছিল, কোন পথে আসা হয়েছিল, কার গাড়িতে চড়া হয়েছিল, মাটির পানে চোখ রেখে সেই পথে ফিরে গিয়ে, সেই গাড়োয়ানের খবর করে তন্নতন্ন করে দেখতে হয়। খনি খোঁজারও সেই নিয়ম।
ফিন-জাতের দেশ ফিন্ল্যাণ্ড-এ এক বিজ্ঞানী কতকগুলো বড়ো বড়ো তামার পাথর দেখতে পান। সেটা পাহাড়ী জায়গা নয় যে, তামার খনি থাকবে। তাহলে সে পাথর এল কী ক’রে। আকাশ থেকে নিশ্চয়ই পড়েনি; তবে জলের তোড়ের সঙ্গে গড়িয়ে আসা অসম্ভব নয়।
কিন্তু নদী কই।
এখন না থাক্, এক সময় ছিল, ছড়ানো মুড়ি দেখে অনুমান হয়।
কেন।
তবে গোড়া থেকে বলি শোনো।
৫২