পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতালের কথা উচু পাহাড়ের, কিম্বা মেরুর কাছাকাছি দেশের পাহাড়ের মাথা এত ঠাও যে, সেখানকার বরফ মোটেই গলতে পায় না, পাহাড়ের খাজে খাজে বরফী-ধারা ( glacier ) হয়ে পৃথিবীর টানে আস্তে আস্তে নামতে থাকে । মনে করো এক চাংড়া বরফ এক-ফেরা সরু তার দিয়ে ঝোলানো আছে। চাংড়াটার ভারে নিচের তারের ঠিক উপরের এক লাইন বরফ গলে যাবে, সেই ফঁাকে তারটা বরফের ভিতর কেটে ঢুকবে। যেমন ঢোকা, তারের নিচে আর চাপ থাকবে না, গলা জলটুকু আবার বরফ হওয়ায় ফাকটা বুজে যাবে। এমনি করে তারটা ধীরে ধীরে বরফের ভিতর দিয়ে কাটার চিহ্ন না রেখেই উঠবে। শেষে তারটা একেবারে উঠে গেলে চাংড়াটা দুটুকরো না হয়ে আস্তই তার ছেড়ে নিচে পড়বে। পাহাড়ের খোদলের মধ্যে বরফীনদী সেই ভাবেই চলে। দুই কিনারার চাপে ধারে ধারে একটু করে একবার গলে, গলার সময় একটু নামে, চাপ উতরে গেলে সে জায়গা আবার জমে যায়, আবার চাপ পড়ে। এই গল জমা ভিতরে ভিতরে চলতে থাকে, বাইরে থেকে দেখলে সমস্তটা নিরেটভাবেই ক্রমে নিচের দিকে নামে। ছোটো বড়ো ঢিলে পাথর পথে যা পায় তাই আঁকড়ে বরফীনদী সঙ্গে নিয়ে চলে, সেগুলো তলায় কিনারায় আঁচড়ের দাগ রেখে যায়। নিচের গরমে পৌছে নদীর বরফ গলে জল হলে পর, বড়ো পাথরগুলো সেখানেই থেকে যায়, ছোটোগুলো জলের তোড়ে কিছু দূর ঘলড়াতে ঘসড়াতে গোল হয়ে যায়। শেষে জমির ঢাল কমে গেলে স্রোতও মন্দ হয়ে যায়, তখন নদী বালি মাটির কণার চেয়ে ভারি আর কিছু টেনে নিতে পারে না, তখন মুড়িগুলোকেও ফেলে যায়। এই বৃত্তান্ত মনে থাকায়, যে-বিজ্ঞানী সেই তামার পাথর দেখেছিলেন ¢oo