পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চভূতের বশীকরণ নয়, সবচেয়ে ভার পাহাড়শ্রেণীর তলার । ভার অনুসারে এসব মাতৃকার মধ্যে কম-বেশি ডুবে আছে। কিন্তু উপরের ওজন বরাবর এক রকম থাকে না । জলের ক্রিয়ায় পাহাড়ের উপরকার স্তর দিন-কে-দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে, তার গা থেকে খসা মাটিপাথর, আরো পথে কুড়ানো যা-কিছু নিয়ে নদীগুলো অবিশ্রাস্ত সমুদ্রে ঢেলে চলেছে। তার ফলে পাহাড়গুলো হয়ে যাচ্ছে হালকা, নদীর মোহানার সামনেটা হয়ে আসছে ভারি। সেজষ্ঠে, ধীরে ধীরে হলেও, পৃথিবীর ভিন্ন অংশের ওঠা নামা চলছেই। যেমন, যে নৌকোটায় যাত্রী ওঠে সেটা জলের ভিতর একটু নেমে যায়, যার থেকে যাত্রী নামে সেটা একটু ভেসে ওঠে। তাছাড়া তাপেরও হেরফের চলতে থাকে। পাত্রে ভরা জলের উপর চাপ দিলে উপচে পড়ে, ঢাকা থাকলে ফাক দিয়ে ছিটকে বেরোয় । জলভরা ইকোয় টান না দিয়ে ফু দিলে জল নল দিয়ে ফোয়ারা হয়ে ওঠে। সেইরকম, কোনো ভূখণ্ডের ভার কিম্বা তলার তাত বেড়ে উঠলে, তার মাতৃকার উপর চাপ পড়ে, তাতেগলা ধাতুগুলো এপাশ ওপাশ সরার জায়গা না পেয়ে উপরের পাথরের ফাটলের মধ্যে দিয়ে উঠে পড়ে, শেষ পর্যন্ত ফাক পেলে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে পড়ে। দুপাশের পাথর কম মজবুত হলে সেগুলোকে মুদ্ধ তুলে পাহাড় করে দেয়। এরকম ঠেলে-ওঠা জায়গার মধ্যে বিস্তর ফাটল থেকে যায়, তাই পাছাড়ের মধ্যে দিয়েই - বেশির ভাগ মাতৃকা উপরে বেরিয়ে পড়ে, সেখানে ঠাণ্ডা হলে পাথর হয়ে জমে যায়। ফাটলের ভিতরে ও উপরে হালকা, নিচে ভারি স্তরে স্তরে থিতিয়ে থাকে। তাতেই জন্মায় এক এক স্তরে এক এক রকম পাথরের খনি । ফাটলে ওঠার সময় মাতৃকা কোনো গুহার জমা জলে ঠেকলে, তার 般も