বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চভূতের বশীকরণ

ডাঙা নয়, এবার চুনের পুরু পর্দা প’ড়ে তার খালদাঁড়া সব একাকার।

 সাগরের যেখানে কোল ছিল সেখানে পড়ে নুনের পলি।

 সাগরে বা হ্রদে নদীর মোহানা থাকায় গুচ্ছের শেওলা গজিয়েছিল, দুধারের পেঁকো মাটিতে ভারি জঙ্গল উঠেছিল। সেসব জায়গা তলিয়ে যাবার পর তাতে গাছের সংগ্রহকরা সূর্যের তেজ ভরা কয়লা, পাথর তেল জন্মায়।

 এরকম নতুন-ওঠা ডাঙাগুলো বালি মাটি চাপা পড়লে এই পদার্থগুলো যে যার খনির মধ্যে থেকে যায়।

 এখন কথা হচ্ছে, উপর থেকে কেমন করে জানা যাবে, পাহাড়ের ভিতর কোন্‌খানে ফাটল ছিল, কোন্‌টার মধ্যে কী কী পাথরইবা জমা হয়ে রয়েছে। আন্দাজে এখানে ওখানে গর্ত করে খুঁজে বেড়াতে গেলে বিস্তর খরচ। শক্ত পাহাড়ী পাথর কুরতে হীরে-বসানো যন্ত্র লাগে। সে খরচ বাঁচাতে হলে বিজ্ঞানীকে মগজ খাটিয়ে যন্ত্র বার করতে হয়।

 এক যন্ত্র উদ্ভাবন হয়েছে মাধ্যাকর্ষণের নিয়ম ধরে—যে আকর্ষণ থাকায় আমরা ঘরের দেয়ালে বেড়াতে পারিনে, থাকতে হয় মেঝের উপর। শুধু পৃথিবী সকলকে টানছে তা নয়, প্রত্যেক জিনিস প্রত্যেককে টানছে, তবে ছোটো ছোটো টানের ফল সাদা চোখে ধরা যায় না। সূক্ষ্ম নিক্তির মতো এই যে যন্ত্র, এটা টানের অল্প হেরফেরে সাড়া দেয়, মাটির নিচে কোনো ভারি পাথরের স্তর থাকলে সেদিকে তার কাঁটা হেলে পড়ে। এই যন্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ালে কাঁটার ভঙ্গি দেখে বোঝা যায় কোন্ জায়গার তলায় ধাতু পাথর জমা আছে।

 লোহার মতো চুম্বক-টানা ধাতুর খবর কম্পাসের কাঁটাও দিতে পারে। উপর-নিচে দুলতে পারে এ ভাবে চুম্বক-কাঁটাটাকে ঝোলালে,

৫৮