পঞ্চভূতের বশীকরণ
আগেই চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দিলেন। হতাশ পণ্ডিত তো পাত্তাড়ি গুটিয়ে দেশে ফিরে গিয়ে না খেতে পেয়ে মারা গেল। তখন সেই নকশা পড়ল জর্মান বিশেষজ্ঞদের হাতে। সেটা যে কত বড়ো গুপ্ত ধনের সিন্দুকের চাবি, সে কথা তাঁদের বুঝতে বাকি রইল না।
ইতিমধ্যে রুশের বিপ্লব আরম্ভ হয়ে গেছে। জমিদার আর নেই, রাষ্ট্র চালাচ্ছেন USSR। ঐ নকশার মূল্য লাখে লাখে আদায় করার আশায় সেই জর্মান বিশেষজ্ঞের দল রুশে চলে এলেন
কিন্তু USSR নিজের গুপ্ত-সিন্দুকের চাবি পরের কাছে ঠকে কিনবেন কেন,—তাঁরা কি চাবি গড়তে জানেন না। এক পণ্ডিতের জায়গায় তাঁরা লাগিয়ে দিলেন এক ঝাঁক বিজ্ঞানী; দেখতে দেখতে বেরিয়ে পড়ল কোটি কোটি মন লোহায় ভরা এক প্রকাণ্ড খনি। তাতে USSR-এর এক মস্ত অভাব মিটে গেল, কারণ বাইরের রাজ্য সকলেই বিরুদ্ব-পক্ষ, তাদের কাছ থেকে ডবল দাম দিয়ে লোহা কিনতে হচ্ছিল।
এসব ব্যাপারের মজাটুকু এই যে, ভারতের ঋষিদের বাণী দূরে থাক্, USSR তাঁদের নামও শোনেননি, অথচ কাজে তাঁদের কথার ব্যাখ্যা অজানতে করে চলেছেন। উপনিষদে ত্যাগ করে ভোগ করার কথা যা বলা হয়েছে, বিষয়ীর কাছে তার কোনো মানেই হতে চায় না, বড়ো জোর তাদিকে এইটুকু বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে যে ব্যাঙ্কে টাকা তোলা থাকলে ভোগে আসে না, খরচ করলে তবেই সেটা মূলধন হয়ে ভোগের উপায় জন্মাতে পারে। ওদিকে যাঁরা বৈরাগ্য-রোগ-গ্রস্ত তাঁরা ভুলে যান যে আনন্দসম্ভোগের আসল উপায় শিখিয়ে দেওয়াই ঋষির উদ্দেশ্য, মনে করেন বুঝি ত্যাগের গুণগানই করা হচ্ছে।
USSR কিন্তু ঠিক বুঝেছেন, কাজেও দেখাচ্ছেন যে, যা ত্যাগ করা দরকার সেটা হচ্ছে ব্যক্তিগত ভোগের মোহ, যাতে একের লোকসান
৬২