বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তৃতীয় পালা

মনপ্রাণের উৎকর্ষ

আহারের সমস্যা

 সাধে ভাবি USSR হয়তো এবারকার অবতার, দেখাই তো গেল, আকাশ বায়ু জ্যোতি জল এঁদের বাগ মেনে আসছে, এঁদের শাসনে উত্তরবাহিনী নদী পশ্চিমে চলেছে, পশ্চিমের নদী পুবের নদীর সঙ্গে জল মেশাচ্ছে; এঁদের বিধানে যেখানে ছিল মরু সেখানে কোথাও বনের পাখির বৈঠক বসেছে, কোথাও শহুরে মানুষ হট্টগোল লাগিয়েছে; যা ছিল ফাঁকা পাথুরে অধিত্যকা, হয়েছে সেখানে কাটা খাল, খালের ধারে সবুজ গাছের বেড়া, সেকেলে নবাবদের কেয়ারি-করা বাগানের অতি বৃহৎ সংস্করণের মতো; সকলের আধার যে পৃথিবী তার রূপ এমন ফিরে যাচ্ছে যে কিছু কাল পর এরোপ্লেন থেকে এক নজর দেখলে তাকে সেই ইহলোক বলে আর চেনাই যাবে না।

 ধরিত্রীকে রূপসী করার শখ তো নয়, “দরিদ্র নারায়ণ” যাতে পেট ভরে খেতে পান, সেই আগ্রহে এত গা-ঘামানো, এত মাথাব্যথা।

 তাহলে আমরা নরেরা কি রাক্ষসের জাত—বুঝি শুধু আঁউ মাউ আর খাঁউ।

 তা যাই বল, এক পেট খিদে নিয়ে বুদ্ধির কি ধার হয়, না মেজাজ খোস থাকে। চরম গতির কথা তো ছেড়েই দাও।

 এই চোদ্দ-পোয়া ধড়টাকে তাজা ভাবে খাড়া না রাখলে, ধর্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ কোনোটারই নাগাল মেলে না। আর মানুষের খাবার ধাঁচাটা যদি রাক্ষুসে হয়েই থাকে, সে দোষও প্রকৃতি-মায়ের, যাঁর কৃপায় কোনো

৬৪