পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রেষ্ঠের তল্লাশ রুশের বিপ্লব নিবিবাদে হতে পায়নি, সে তো ধরা কথা। বাইরের শক্ৰদের আক্রমণ এক পক্ষে চলছিলই ; ভিতরেও বাগড়া দিচ্ছিল বিরুদ্ধ দল, যাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছেড়ে দিতে হওয়াটা মোটেই উপাদেয় ঠেকেনি ; আর প্রতিপত্তি প্রাধান্ত নিয়ে রেষারেষি— তাই বা যাবে কোথায়। এসব নিয়ে কাটাকাটি মারামারি থমথমে হলে, বিপ্লবী কর্তার যে-রাষ্ট্রের ভার পেয়ে কাজ চালাতে বসলেন, তার একেবারেই ভগ্নদশা | রুশের সে সময়কার খবরের কাগজ পড়লে অবাক হতে হয়। শহরে ঘাল-গজানো রাস্তার দুধারে পোড়ো বাড়ি ; পল্লীর সব পতিত খেত আগাছা-ঢাকা ; কারখানার কলে মর্চে ; স্টেশনে সারবনী রেলগাড়ি অচল। ধন্ত তাদের পুরুষকার, যারা ছারখার রাষ্ট্রের ঘোর অন্ধকার রাতে দমে না গিয়ে, নগরে নগরে বিজলী দীপমালা পরাবার, গ্রামে গ্রামে দুনিয়া-ছাকা সেরা ফসল ফলাবার সংকল্প করতে পেরেছিলেন। খালি ফাক কল্পনা নয়। ঘরে বাইরে সেই অরিবাম অশাস্তি সত্ত্বেও সেরা বিজ্ঞানীর দল বাছাই করে, কোন জায়গায় কিসের অভাব, যা আবশ্বক তা কোনখানে কেমন করে পাওয়া যায়, সেই খোজে তাদিকে লাগিয়ে দিলেন। সব দেশেই কিছু কিছু বিদেশী গাছগাছড়া দেখা যায়, কিন্তু সে বিষয়ে মার্কিন দেশের কাছে কেউ নয়। সেখানকার মানুষও যেমন পাঁচ দেশের আমদানি, লে দেশের পর্যটকরাও তেমনি নিজের খেয়ালমতে৷ নানা জায়গার রকম বেরকমের গাছ এনে জুটিয়েছে। সেখান থেকে শেখবার অনেক আছে বটে, কিন্তু খামখেয়ালী ভাবে কাজ করলে •