শ্রেষ্ঠের তল্লাশ
USSR-এর চলে না, তাই তাঁরা মার্কিন দেশের মাছিমারা নকল করেননি।
USSR-এর প্রথম দিকে সংকল্প (plan) ছিল, যে-প্রদেশে যা সহজে হয় সেখানকার বাসিন্দা দিয়ে দেশসুদ্ধ লোকের জন্যে তাই উৎপন্ন করিয়ে চারিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা গেল তাতে আনা-নেওয়ার হাঙ্গাম অনর্থক বেড়ে ওঠে। চাষ আবাদই হোক, খনির কাজই হোক, বড়ো ভাবে করতে গেলে, গোরু ঘোড়া ঠেঙিয়ে কুলোয় না, নানা রকম কলকবজা লাগে, কল তৈরির জন্যে কাছাকাছি কারখানা চাই, শ্রমিকদের টাটকা ফলতরকারি খেতে হলে দূর থেকে আনা চলে না। কাজেই সব প্রদেশে সব রকমের বন্দোবস্ত রাখতে হয়।
কর্তাদের কাছে চারদিক থেকে আবদার আসতে লাগল:
“আমাদের বরফের দেশ বলে আমরা কি’ গমের রুটি খেতে পাব না।”
“আমাদের এখানে পোকার উপদ্রব, ফলে পোকা ধরে না এমন গাছ চাই, নইলে আমাদের ফল খাওয়াই হবে না।”
“কারখানায় কুটনো কোটে কলে, কলের মাপের সমান গোল আলু হয় এমন জাতের বীজ চাই।”
—কত রকমের ফরমাশ।
এখন তো আর সম্রাটের গবর্নমেণ্ট নেই যে, প্রজারা বকাবকি করলে রাজদ্রোহ হয়। USSR-এ সকলেই শ্রমিক, শ্রমিকদের দরদ শ্রমিকে বোঝে; তাছাড়া এত সাধের এত কষ্টের বিপ্লব, বিপ্লবীর ছেলেপিলেরা রাজার হালে খেয়ে মানুষ না হলে মান থাকবে কেন। তাই USSR-এর চোখা চোখা জিনিস চাই, তড়িঘড়ি চাই, দুনিয়া হাতড়ে বেড়াবার
৭১