শ্রেষ্ঠের তল্লাশ
সব খাদ্যের খোঁজে ছিলেন, তার কী উপায় করা হল সেই হচ্ছে কথা। এই ধরো না কেন, এমন এমন গম তাঁরা চান যার কোনোটা বরফের দেশে টিঁকতে পারে, কোনোটা যে দেশে মাসকতক টানা রাত সেখানেও ফলতে পারে, কোনোটা জলের অভাবে বা অতি বর্ষায় মরে না। একাধারে সব গুণ তৈরি না পেলেও, দু’চার রকমের জোড় মিলিয়েও দরকারমতো করে নেওয়া যেতে পারে। মোট কথা নানা গুণের বিচি চাই, যত রকমের পাওয়া যায় তত রকমই চাই।
‘পুঁথিগত বিদ্যে’ নিন্দের ছলে বলে, কিন্তু কাজে লাগাতে জানলে সে বিদ্যে বড়ো ফেলা যায় না। যে আমলের হোক, যে ভাষায় হোক, পুঁথিতে গমের বিষয়ে যা কিছু কথা পাওয়া যায়, পণ্ডিতেরা বসে গেলেন সেগুলোকে টুকে নিয়ে একত্র করতে। নানা যুগের পর্যটকদের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকে তাদের চলাচলের পথের যে সন্ধান পাওয়া গেল, তাই ধরে গমের চিহ্ন খুঁজতে লেগে গেলেন। সব মিলিয়ে গমের যত রকম খবর পাওয়া গেল, তাই এক ভূচিত্রের উপর সাজানো হল; এক এক গড়নের,—গোল, তেকোণা, চৌকো, তারার মতো,—ফুটকি দিয়ে এক এক রকমের গম বোঝানো হল।
কোনো দেশে একটা শস্যের চাষ অনেককাল ধরে চলতে থাকলে, প্রকৃতির নিয়মে সেখানে তার নতুন নতুন জাত উদ্ভব হতে থাকে; ক্রমে সেখানে তার হরেক রকমের নমুনা দাঁড়িয়ে যায়, আমাদের দেশে ধান চালের যেমন হয়েছে।
পরে আদিস্থান থেকে দেশান্তরের যাত্রীরা শস্যের দানা সঙ্গে নেওয়ায় তার প্রচার কী রকম করে হয়, তা তো দেখা গেছে। কিন্তু সব জাতের দানা নেওয়াও হয় না, যা নেওয়া হয় সব মাটিতে পড়েও না, যা পড়ে সব লাগেও না। এর থেকে এই তত্ত্বটুকু উদ্ধার হয়,
৭৩