বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মনপ্রাণের উৎকর্ষ

তাঁতের সরঞ্জাম মোটে একপ্রস্থ। নতুন গ্রামে ফুলপেড়ে শাড়ি কজ’নেই বা কিনতে পারবে, মোটা ধুতির বেশি কাটতির আশা দেখে দুজনে মিলে ঐ কাজেই লেগে গেল। তবুও খ-গ্রামের সে তাঁতি থাকায়, গ-গ্রামে ফুলপাড় বোনার বিদ্যেটা চাপা থাকলেও মারা পড়ল না। যা হোক, দ্বিতীয় ফল এই দেখা যাবে যে, গ-গ্রামে মোটা ধুতির কারবার জেঁকে উঠল।

 তৃতীয় ফল প্রকাশ পেতে পারে যখন ঙ-গ্রাম পত্তনের বেলা গ-ঘ-গ্রামের উপর কারিগর জোগাবার ভার পড়বে। গ্রামের তাঁতি হয়তো গামছা ছাড়া কিছুই বুনতে পারে না, অথচ বাছাইয়ের গোলমালে সে নতুন গ্রামে গেলই না, সেখানে পৌঁছল একা ফুলপাড়-বোনা তাঁতি। তাতে ঙ-গ্রাম হঠাৎ হয়ে উঠবে ফুলপেড়ে শাড়ির মোকাম। সাধারণ লোকে তাজ্জব হয়ে বলাবলি করতে পারে—“মোটা ধুতি গ্রামের আর গামছা-বোনা গ্রামের কারিগররা বসল ঙ-গ্রামে,—সেখানে ফুলপাড় তৈরির বিদ্যেটা এল কোত্থেকে?” গ্রামপত্তনের ইতিহাস যে গোড়া-থেকে জানে সেই এ রহস্য ভেদ করে দিতে পারবে।

 এমনও হতে পারত যে ঙ-গ্রামে গ-ঘ গ্রাম থেকে দুরকমেরই তাঁতি পৌঁছল। সে অবস্থায় গামছায় খাটুনি কম কাটতি বেশি—বিজ্ঞানের ভাষায় এ গুণ ডমিন্যাণ্ট (dominant) হওয়ায় ফুলপাড়ের বিদ্যেটা আবার চাপা পড়ল—বিজ্ঞানের ভাষায় রিসেসিভ (recessive) হল কিন্তু তবুও মরল না। তাহলে হয়তো এ রকম ভাবে চাপা পড়তে পড়তে চ ছ জ-ঝ-গ্রাম পেরিয়ে ঞ-গ্রাম পত্তনের সময় ‘ফুলপাড়বোনা তাঁতি নিজের বিদ্যে জাহির করার সুবিধে পেল। ততদিন পর

৮৪