পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনপ্রাণের উৎকর্ষ দাও) অটুট ছিল বলেই তো খাচায়-মানুষ সে-বাচ্ছাদের পক্ষে এসক করা সম্ভব হল । মানবজাতি ডেপুটি-শ্রষ্টার পদ পাবার পর, পরিবতনের কাজ কতকটা তাড়াতাড়ি এগিয়েছে বটে। খরগোশের মতো জীব অশ্ব হয়ে উঠল ; মামুষের শক্ৰ যে নেকড়ে, সে মামুষের মিত্র কুকুর বনে কত রকম জাতের বাহার দেখাল ; ঘাসের বিচি গমে ধানে গুলজার হল। তবু এসব হতে সময় নিয়েছে কম নয় ; কারণ এ পর্যস্ত জননকোষের উপর আক্রমণ, তাদিকে একটু প্রগতিপরায়ণ করার চেষ্ট,– তার উপায় জানাও ছিল না, করাও হয়নি। সেইজষ্ঠে দশ দিন বয়সে যে মাছি বংশবৃদ্ধি করে, তাদের উপর বিজ্ঞানীদের এত বোক । কী উপায়ে জাতের মধ্যে বিশেষ গুণ আনতে বা তা থেকে দোষ ছাড়াতে পারা যায়, তার হিসেব পাবার জন্তে এই Drosophila মাছিদের নিয়ে বছরে ছত্রিশবার নাড়াচাড়া করা চলে । মাছিদের স্বচ্ছ নরম দেহ, উপরে কিরণ ফেললে ভিতর পর্যন্ত তার তেজ প্রবেশ করে, শরীরের যে-কোনো জায়গায় তেজী অারক ফুড়ে দেওয়ী সহজ ; কোনো কোনো অঙ্গচ্ছেদ করলেও তাদের প্লাশের হানি হয় না । এখন মাছির উপর X-কিরণ ফেলে বিজ্ঞানীরা তাদের জননিকাকে উত্তেজিত ক’রে তাদের কত রকম চেহারার অদল-বদল করাচ্ছেন— খাটো ডান, লম্বা ডানা, সাদা চোখ লাল চোখ, জাড়া খুদে বা তেখেড়েঙ্গা ; কেউ আলোর দিকে ওড়ে, কেউ আলো দেখলে পালায়, গুণেরও কত রকম ওলট পালট । তবে, উপযুক্ত রকম কিরণ বা আরক লাগাতে পারলে, কলার বছরের চালের দানা, কুমড়োর মাপের আলু, একবেলার খোরাক যোগাবার মতে এক একটা আম, এ সবই বা তৈরি হবে না কেন। լցԵ