পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনপ্রাণের উৎকর্ষ পুরাকালে, যখন পৃথিবী সবে স্বর্য থেকে ছিটকে বেরিয়ে প্রচণ্ডতাপে বাষ্পময় ছিল, তখনকার অবস্থায় আমরা এখন যাকে প্রাণের ক্রিয়া বলি, তার উপায় ছিল না। কালক্রমে ঠাও হবার পর যখন জীবনরূপী জলের কতক অংশ তরল হয়ে আকাশ থেকে নেমে এসে মাটির খাজেখন্দে বসে গেল, তার মধ্যে প্রাণীকণা উদ্ভাবন হয়ে ভেসে বেড়াতে লাগল। এই প্রাণ জিনিসটায় ঈশার প্রকাশ প্রথম ফুটে ওঠে, যার, দরুন জড়ের নিরুদেশ গতির মধ্যে একটা মতি দেখা দেয় । প্রাণশক্তির মতি অনুসারে দৈবাৎ এক আধটা নয়, দল-কে-দল প্রাণবিন্দুরা দেহ গড়তে লেগে গেল। প্রাণকোষটা ভাজ হয়ে পেটের খেদিল হল, আগা পাকিয়ে ছাজ বেরল, ছাজের ঝাপটায় উদর পূরণের চেষ্টায় ঘুরে বেড়াবার সুযোগ পেল। খেয়ে দেয়ে দেহ বেশি বেড়ে গেলে দুটুিকরো হয়ে বংশবৃদ্ধি হতে লাগল, ক্রমে যুগলমিলনের কৌশল বেরিয়ে, সস্তানের মধ্যে বৈচিত্র্য এসে উন্নতির পথ খুলে গেল । প্রাণশক্তির কথা না এনে ফেললে চলে না। যে খাবার সামনে নেই, যে ভাবী উন্নতি আগে থাকতে কল্পনায় আসতে পারে না, তার খোজে প্রাণীকণাকে পাঠালে কে –যদি বল ভিতরকার অন্ধ সংস্কারের এই কাজ, তবে প্রশ্ন ওঠে গোড়ায় সে সংস্কার এল কোথেকে। যদি বল এক ঈশায় সবই করাচ্ছেন, তাহলে প্রাণীতে জড়ে, প্লাণীতে প্রাণীতে কাটাকাটি মারামারির হিসেব পাওয়া যায় না। কাজেই আপাতত প্রাণশক্তি ব’লে কোনো খণ্ড-ঈশার প্রভাবে প্রাণক্রিয়া চলে, তাই ধরতে হয়। আবার দেখো, প্রবাহের মধ্যে যেমন প্রবাহ, ঈশার উপর তেমনি ঈশা। প্রাণীকণার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রাণশক্তির উপর জৈবিক শক্তির আবির্ভাব হয়, তার প্রভাবে প্রাণীকণাদের মধ্যে সমবেত হয়ে বড়ো কলেবর ধারণ করার চেষ্টা দেখা যায়। Sశి