পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনপ্রাণের উৎকর্ষ আদানপ্রদান চলতে পারে না। তবু দেখা গেল উইকর্মীরা দ্বদিক থেকে মেরামতের কাজ আরম্ভ করে ঠিক এক থামালে টিনের দুপাশে ফাকটা জুড়ে দিলে। কোনো উপরের সংঘশক্তির নিদের্শ ছাড়া এমন তো হয় না । এই সংঘশক্তির প্রভাবে উইঢিবির জীবনযাত্রার যত রকম কাজ চলে—মাটির তৈরি সুড়ঙ্গ বেয়ে লিঙ্গহীন কর্মীদের কাঠের সন্ধানে বেরনো, কাঠের গুড়ো কেটে এনে গরম স্যাৎলেতে গুদমে পুরে, ছাতা ' ধরিয়ে তাকে হজম করানো, সেই তৈরি “ফুড° খাইয়ে ডিম ফোট। বাচ্ছাদিকে বড়ো করা, উপরের মাটি শুকিয়ে গেলে জলের কাছ পর্যস্ত নেমে গিয়ে ভিজে মাটি তুলে আনা, আরো কত কী। জন্তুর মাথা কাটা গেলে যেমন তার শরীরের যত রকমের কোষ সব নিজীব হয়ে মারা যায়, তেমনি উইপোকাদের সংঘশক্তি ওদের মাতৃস্থানীয় একটি বিশেষ স্ত্রীপোকার মধ্যে দিয়ে কাজ করে। সেটি পেটসর্বস্ব একটি ডিমপাড়া যন্ত্র বললেও হয়, ঢিবির নিভৃত স্থানে একটি আলাদা ঘরে বন্ধ থেকে সে জীবন-ভর ডিমই পাড়ে। বাচ্ছাদের মতো তাকেও কর্মীরা খাওয়ায়, সেবা করে। তাকে যদি মেরে বা সরিয়ে ফেলা হয়, তাহলে উইপোকাদের নিত্যকর্ম বন্ধ হয়ে যায়, তারা একেবারে নিস্তেজ হয়ে পড়ে, ঢিবির আয়ু শেষ হয়ে যায়। ঢিবির বংশবৃদ্ধি উপলক্ষ্যে পোকাদের বৎসরে একবার ডানা গজায়, বিয়ের উৎসবের দিন সেই একবার এরা খোলা আলো হাওয়ার স্বাদ পায়। কিন্তু হায় কপাল, সে কি অস্তুত উৎসব। ভোজ পড়ে যায় রাজ্যের লোভাস্থত গিরগিটি টিকটিকি বাদুড় চাম্‌চিকের দলের, আর তরকারি হয় হতভাগ বর কনের স্বয়ং। শেষে যে দু’চারটি টিকে যায়, তারা জোড় বেঁধে ডানা খসিয়ে নতুন ঢিবি পত্তন করতে বলে বটে, ఏb