পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনপ্রাণের উৎকর্ষ না। ষত খাতির রানীর, যত সেবা বাচ্ছাদের, যত কঠোরত। হতভাগ পুরুষগুলোর ভাগ্যে ; বসন্ত-উৎসবে একজন উদযোগী পুরুষ তে রানীকে লাভ করে, বাকি সব ঘরে ফিরে এসে বেকার বসে থাকে, ফুলের মস্ক ৰ্ম উতরে গেলে কর্মীর তাদিকে ঘেরাও করে মেরে দেয়—মধুর বাজে খরচ ওদের এতই অসহ । নিজেদের সম্বন্ধে কর্মীরা উদাসীন, কেউ কারো অপেক্ষা রাখে না, কোনো কর্মীর আঘাত লেগে সে যদি যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে, তার দিকেও অন্তেরা ফিরে তাকায় না, চাকের কাজের হুড়োহুড়িতে তাকে যদি মাড়িয়ে যেতে হয়, সেও স্বীকার। নিজের বেলা এত হেলা, পরের কাউকে আতুপুতু, কাউকে মারধর,— এ ব্যাপারের হিসেবট এই যে, এরা বোঝে শুধু “বৃদ্ধি", স্বজাতবৃদ্ধি— মামুষের মধ্যে যেমন ক্ষত্রিয়-বৈহুপ্রবর নিজের মুখস্বচ্ছনা তুচ্ছ করে রাজ্য বাড়াতে, ধন বাড়াতে, মশগুল থাকে। শেষে এতদিনের গৃহস্থালি, এত করে সঞ্চয় করা মিষ্টিধন, ওদের এই যথাসর্বশ্বের মায়া কাটিয়ে নিজেদের কোন এক অতীত অহেতুক-বৃদ্ধিবাতিকগ্রস্ত সংঘশক্তির এক ইশারায় অর্বাচীন রানীর অমুচর হয়ে ওদের তরুণ দল অজানার মধ্যে অকাতরে বাপ দেয়। ঝড় জল দুর্যোগের হাত থেকে যারা বেঁচে যায়, তারা পৌছয় কোথায় ? না, আবার নিজেকে ভুলে নতুন চাক তৈরি করা, আবার তৈরি চাক ছেড়ে বেরিয়ে পড়া । ব্যক্তির উৎকর্ষ-সাধন গোছের কোনো বালাই নেই। এক রকম তপস্বীদলের আস্তানা দেখা যায়,সেখানে বোকাগৃহস্থদের খাটুনির দান মাটির তলায় কঁাড়ি হতে থাকে, বুড়ে তাপসরা সরে পড়ার আগে একদল শিষ্যকে সেই তপস্তা শিখিয়ে যায়, যাতে করে পুতে রাখা ভিক্ষের ধন আরো বাড়তে থাকে, যা দেবতার উপকারে 3b"