পাতা:বিশ্ব-শোভা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soby” বিশ্বশোভা । প্রবৃত্ত হইলেন। ঝিল্পীগণ উচ্চরবে মহোল্লাসপ্রকাশ করিতে লাগিল। পেচক,বাদুড় প্রভৃতি নিশাচব পক্ষিগণ পর্যটনে নিযুক্ত হইল। এই রূপে অবিশ্রান্ত নীহার পতনে মেদিনী অভিষিক্ত হইলেন, শর্বরী অবিশ্রান্ত নীহারধারা উপভোগ করিয়া অতি ক্ষুন্নমনে বিদায় হইলেন। উষাও অবসর পাইরা রক্তিম বস্ত্র পরিধান ও তুষারহার কণ্ঠে ধারণ করিয়া হাস্য আস্তে প্রকাশ হইলেন । | হে জীব ! একবার শিশির-কালীন উষার মনোহারিনী প্রভা দর্শন কর । দেখ কেমন শু্যামল দুৰ্ব্বাদলোপরি বিন্দু বিন্দু নীহারকণা পতিত হইয়া কি অনিৰ্ব্বচনীয় শোভাই প্রকাশ পাইতেছে , বোধ হইতেছে যেন বসুমাতা বিশ্বপতির চিত্ত বিনোদন করিবার নিমিত্ত সমুজ্জ্বল হরিত বস্ত্র পবিধান করত তদুপরি মুক্তাবলী ধারণ করিয়াছেন । আহা ! কালের কি বিচিত্র গতি, কাল ক্ষণ কলেও সুস্থির নহে চিরকালই চক্রবৎ পরিভ্র মণ করিতেছে, চিরকালই গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত ইত্যাদিরূপে গমনাগমন