পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
দারোগার দপ্তর, ১৪০ সংখ্যা।

রাজচন্দ্র দাস তাহাকে প্রহার করিয়াছে এবং সেই প্রহারের পর রসিক সেইস্থানে পতিত হইয়া ইহজীবন পরিত্যাগ করিয়াছে।

 মনে মনে এইরূপ নানাপ্রকার চিন্তা আসিয়া উপস্থিত হইল, কিন্তু সেই সকল চিন্তার দিকে কিছুমাত্র লক্ষ্য না করিয়া ইহার অনুসন্ধান করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। মৃতদেহ আপাততঃ সেই স্থানেই প্রহরীর জিম্মায় রহিল।

 রাজচন্দ্র দাসকে সঙ্গে লইয়া প্রথমতঃ রাজচন্দ্র দাসের বাড়ীতেই গিয়া উপস্থিত হইলাম। রাজচন্দ্র দাসকে জিজ্ঞাসা করায়, তিনি তাঁহার বাড়ীর সম্মুখবর্ত্তী রাস্তা দেখাইয়া দিয়া কহিলেন, এইস্থানে রসিক দাঁড়াইয়া আমাকে গালি দিয়াছিল। এইস্থানে আমি তাহাকে চপেটাঘাত করি, এবং এইস্থানে সে পতিত হইয়া ইহজীবন পরিত্যাগ করে। এই বাড়ীতে রসিক বাস করিত।

 রাজচন্দ্র দাসের কথা শুনিয়া ঐ স্থানের প্রত্যেককেই একে একে জিজ্ঞাসা করিলাম, কিন্তু কেহই কোন কথা বলিতে পারিল না বা ইচ্ছা করিয়া বলিল না। রাজচন্দ্র দাস যাহা কহিলেন, তাহার সমর্থন করিবার বা তাহার বিপক্ষে কোন কথা কহিতে পারে, এরূপ কোন ব্যক্তিকে সেইস্থানে প্রাপ্ত হইলাম না।

 যে বাড়ীতে রসিক বাস করিত, রাজচন্দ্র দাস তাহা আমাদিগকে দেখাইয়া দিলেন, ঐ বাড়ী রাজচন্দ্র দাসের বাড়ীর সন্নিকটে। আমরা ঐ বাড়ীতে প্রবেশ করিলাম, দেখিলাম, উহা একটী মেস বা বাসাড়িয়া বাড়ী। কেহ পরিবার লইয়া ঐ বাড়ীতে বাস করেন না, কয়েকটী স্কুলের ছাত্র ও কয়েকজন অফিসের কর্ম্মচারী ঐ বাড়ীতে বাস করিয়া থাকেন। বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলে একজন অর্দ্ধবয়স্ক যুবক আমাদিগের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত