পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
দারােগার দপ্তর, ১৪০ সংখ্যা।

করিল। রাজচন্দ্র দাসের বাড়ী পরিত্যাগ করিবার পরও, আমি উহাদিগের নিকট হইতে যদি হত্যা সম্বন্ধে কোন কথা জানিতে পারি, তাহার নিমিত্ত, বিশেষরূপ চেষ্টা করিয়াছিলাম, কিন্তু কোনরূপেই কৃতকার্য্য হইতে সমর্থ হই নাই।

 রাজচন্দ্র দাসের বাড়ী হইতে পুরাতন চাকর চাকরাণী চলিয়া যাইবার পর যে চাকর চাকরাণী নিযুক্ত হইল, তাহাদিগের সহিতও আমি ক্রমে আলাপ পরিচয় করিয়া লইলাম। দেখিলাম, এবার যে চাকরাণী নিযুক্ত হইয়াছে, সে অতিশয় চতুর, তাহাকে হস্তগত করিতে পারিলে যদি আমার মনোবাঞ্ছা কোনরূপে পূর্ণ করিতে পারি তাহার চেষ্টা করিলাম। এক দিবস তাহার সহিত নির্জ্জনে সাক্ষাৎ করিয়া জানিতে পারিলাম যে, সে সমস্ত দিবস রাজচন্দ্র দাসের বাড়ীতে কার্য্য করিয়া রাত্রি ১০টা ১১টার সময় নিজ বাসায় ফিরিয়া যায়, ও রাত্রির অবশিষ্ট অংশ তথায় থাকিয়া প্রত্যুষে পুনরায় আপন কার্য্যে গমন করে। আহারীয় ও পরিধেয় ভিন্ন রাজচন্দ্রের নিকট হইতে সে মাসিক আড়াই টাকা বেতন পাইয়া থাকে। তাহার নিকট হইতে এই তথ্য অবগত হইয়া আমিও নিজ হইতে তাহাকে মাসিক আর তিন টাকা বেতন বরাদ্দ করিয়া দিলাম, কিন্তু আমার আসল উদ্দেশ্যের কোন কথা তাহাকে না বলিয়া যাহাতে সে রাজচন্দ্র দাসের পত্নীর উত্তমরূপে সেবাশুশ্রূষা করিয়া তাহার প্রীতিভাজন হইতে পারে, কেবল সেই চেষ্টা করিতে বলিলাম। তাহাকে আরও বলিয়া দিলাম যে, সে আমার নিকট হইতে এইরূপ অতিরিক্ত বেতন প্রাপ্ত হইতেছে, তাহা যেন রাজচন্দ্র দাস বা তাহার পত্নী কোনরূপে অবগত হইতে না পারে। আরও বলিলাম,