পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
দারােগার দপ্তর, ১৪০ সংখ্যা।

বলিয়া, ঐ দেহ দাহ করিবার চেষ্টা করিলেন। কিন্তু যখন দেখিলেন যে, তাঁহারা ঐ কার্য্যে কৃতকার্য্য হইতে পারিলেন না, তখন ঐ মৃতদেহ সেই স্থানে পরিত্যাগ পূর্ব্বক অন্ধকারের আশ্রয় লইয়া একে একে সকলেই তথা হইতে পলায়ন করতঃ তাহাদিগের গাড়ীতে আসিয়া উপবেশন করিলেন ও সেইস্থান হইতে চলিয়া আসিলেন। পরিশেষে ইহাই সাব্যস্ত হইল যে, পুলিস ইহার অনুসন্ধান করিলে সকল কথা বাহির হইয়া পড়িতে পারে, সুতরাং অনুসন্ধানের পূর্ব্বেই রাজচন্দ্র দাস থানায় গিয়া আত্মসমর্পণ করুন, তাহা হইলে আর বিশেষরূপ অনুসন্ধান হইবে না, তিনিই সামান্য দোষে দোষী হইবেন, তাঁহার স্ত্রীর উপর কোন দোষ পড়িবে না, সামান্য দণ্ডেই তিনি নিষ্কৃতি পাইবেন। কিন্তু কোনরূপেই যেন প্রকৃত কথা স্বীকার করা না হয়।

 এই পরামর্শ অনুসারে রাজচন্দ্র দাস অত্মসমর্পণ করিয়াছিলেন ও যাহা যাহা বলিয়াছিলেন, পাঠকগণ তাহা অবগত আছেন।

 এতদিন পরে হত্যার প্রকৃত অবস্থা জানিতে পারিলাম সত্য কিন্তু বিনা প্রমাণে মোকদ্দমা চলিল না, রাজচন্দ্র দাস অনায়াসেই নিষ্কৃতি লাভ করিলেন।

সম্পূর্ণ।

⇒ পৌষ মাসের সংখ্যা,

“রাজা সাহেব”

বাহির হইবে।