পাতা:বীথিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৈশোরিকা তুমি ভেসে চল সাথে । চিররাপখানি নবরূপে আসে প্রাণে ; নানা পরশের মাধুরীর মাঝখানে তোমারি সে হাত মিলেছে আমার হাতে । গোপন গভীর রহস্ত্যে অবিরত ঋতুতে ঋতুতে সুরের ফসল কত ফলায়ে তুলেছ বিস্মিত মোর গীতে। শুকতারা তব কয়েছিল যে কথারে সন্ধ্যার অালো সোনায় গলায় তারে সকরুণ পুরবীতে । চিনি, নাহি চিনি তবু । প্রতি দিবসের সংসার-মাঝে তুমি স্পর্শ করিয়া আছ যে মর্তভূমি তার আবরণ খসে পড়ে যদি কভু, তখন তোমার মুরতি দীপ্তিমতী প্রকাশ করিবে আপন অমরাবতী সকল কালের বিরহের মহাকাশে । তাহারি বেদনা কত কীর্তির ভূপে উদ্ভূিত হয়ে ওঠে অসংখ্য রূপে পুরুষের ইতিহাসে । হে কৈশোরের প্রিয়া, এ জনমে তুমি নব জীবনের দ্বারে কোন পার হতে এনে দিলে মোর পারে