পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y R O বীরবিলের হালখাতা হৃদয় ও বুদ্ধির পার্থক্যও যে কাল্পনিক, এ সত্যটি মনে রাখলে যা আসলে অবিচ্ছেন্ত তার বিচ্ছেদ ঘটিয়ে তার এক অংশ আমাদের দিয়ে অপর অংশ স্ত্ৰীজাতি অধিকার করে বসতেন না। বুদ্ধিও আমাদের একচেটি নয়, হাদয়ও ওঁদের একচেট নয় ; এবং যেমন হৃদয়ের অভাবের নাম বুদ্ধি নয়, তেমনি বুদ্ধির অভাবের নামও হৃদয় নয়। সুতরাং এ কথা নিৰ্ভয়ে বলা যেতে পারে যে, যুদ্ধের ধর্মধর্মের বিচারে পুরুষজাতি বুদ্ধি ও হৃদয় দুয়েরই সমান পরিচয় দিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করা কঠিন হলেও ধর্মক্ষেত্রে যুদ্ধ সম্বন্ধে বিধিনিষেধ মান্য। ‘অহিংসা পরম ধর্ম"- এই বাক্য বৌদ্ধধর্মের মূলকথা হলেও বৌদ্ধশাস্ত্ৰেই স্বীকৃত হয়েছে যে, মানুষ পেটের দায়ে যুদ্ধ করে। উদারকে মস্তিষ্ক যে পুরোপুরি নিজের শাসনাধীন করতে পারে না, তার জন্য দায়ী মানুষের প্রকৃতি নয়, তার আকৃতি । দেহ ও মনে, কর্মে ও জ্ঞানে যখন যুদ্ধ আরম্ভ হয়- তখন শান্তির জন্য একেও কিছু ছেড়ে দিতে হয়, ওকেও কিছু ছেড়ে দিতে হয়। হিংসা এবং অহিংসার সন্ধি থেকেই বৈধ হিংসার সৃষ্টি হয়। আর, সন্ধ্যা-জিনিসটি- তা সে প্ৰাতঃই হোক। আর সায়ংই হোক- পুরো আলোও নয়, পুরো অন্ধকারও নয়। সুতরাং যুদ্ধ-জিনিসটি একদম সাদাও নয়, একদম কালেও নয় ; ঐ দুয়ে মিলে যা হয় তাই, অর্থাৎ ছাই । লেখিকা আমাদের প্রতি- অর্থাৎ বাঙালি পুরুষের প্রতি- যে কটাক্ষ করেছেন, 6न अवशु cन-खां ऊँौद्म বকুদৃষ্টি নয় যার সম্বন্ধে কবিতা লিখে লিখে আমরা এলি নে । এ সম্বন্ধে আমি কোনোরূপ উচ্চবাচ্য করব না ; কেননা, লেখিকা স্বীকার করেছেন যে, BBB DBDBBD DBB S SBBS DBDD DBuu DDBDBBDB BDBLDBLB BDD BDS DDD DDDD ওঁরা যে ও-মহাস্ত্ৰ ব্যবহার করতে জানেন- সে বিষয়ে কেউ আর সন্দেহ করেন না ; কেননা, সকলেই ভুক্তিভোগী। সে যাই হোক, সাধারণ পুরুষজাতি সম্বন্ধে তার মতের প্রতিবাদ করা যেতে পারে। তিনি পুরুষের স্বভাব অতি অবজ্ঞার চক্ষে দেখেন ; কেননা, তা স্ত্রীস্বভাৰ নয়। মানুষের স্বভাব যে কী, লেখিকা। যদি তা জানেন তা হলে তিনি এমনি-একটি জিনিসের সন্ধান পেয়েছেন, যা আমরা যুগযুগাস্তের অনুসন্ধানেও পাইনি। আমরা যেমন কোনো অস্ত্রশস্ত্ৰ ধারণ করে জন্মগ্রহণ করিনি তেমনি কোনো প্ৰাক্তন সংস্কার নিয়ে জন্মাই নি। আমরা দেহ ও মনের নগ্ন অবস্থাতেই পৃথিবীতে আসি। তাই আমরা মনুষ্যত্বের তত্ত্বের জন্য কখনো পশুর কাছে কখনো দেবতার কাছে যাই। কারণ এ-সব-জাতীয় জীবের একটা বঁধাের্বাধি বিধিনির্দিষ্ট প্রকৃতি আছে ; শুধু আমাদের নেই। আমরা শুধু স্বাধীন, বাদবাকি সৃষ্টি নিয়মের অধীন। সুতরাং আমরা মানবজীবনের