পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y80 বীরবলের হালখাতা শিক্ষা নিস্ফল। এ কথা সম্ভবত সত্য। তিনি চান যে স্ত্রীজাতি নিজের শিক্ষার ভার নিজ-হন্তে গ্ৰহণ করেন। এ হলে তো আমরা বঁচি । আমাদের মেয়েরা যদি নিজের বিবাহের ভাৱ নিজের হাতে নেন, তা হলে দেশসুদ্ধ লোক যেমন কন্যাদায় হতে আমনি নিষ্কৃতি লাভ করে, তেমনি মা-লক্ষ্মীরা যদি নিজ-গুণে মা-সরস্বতী হয়ে ওঠেন, তা হলে স্ত্রীশিক্ষার সমস্যা আমাদের আর মীমাংসা করতে হয় না। সে যাই হোক, আমি বলি, পুরুষজাতিকে সেই শিক্ষা দেওয়া হোক, যাতে তারা স্ত্ৰীজাতির কাজে লাগে। শিক্ষার এ আদর্শ কোনো কালে কোনো দেশে ছিল না। বলেই আমাদের পক্ষে তা গ্ৰাহ করা উচিত। পুরুষজাতি যদি এই আদর্শে শিক্ষিত হয়, তা হলে আর-কিছু না হোক, পৃথিবীর মারামারি-কাটাকাটি সব থেমে যাবে। নিখিলেশ ও সন্দীপ যদি বিমলাকে নিজের নিজের কাজে লাগাতে চেষ্টা না ক’রে নিজেদের বিমলার কাজে লাগাতে চেষ্টা করতেন, তা হলে গোল তো সব মিটেই যেত। অতএব আমরা যাতে বিমলার কাজে লাগি, সেইরকম আমাদের শিক্ষা হওয়া কর্তব্য। • S७२२