SN28 বীরবলের হালখাতা R হিন্দুসংগীতের ক-খ-জিনিসটে কি ?- বলছি। আমাদের সকল শাস্ত্রের মূল যা, আমাদের সংগীতেরও মূল তাই- অর্থাৎ শ্রুতি। শুনতে পাই, এই শ্রুতি নিয়ে সংগীতাচার্যের দল বহুকাল ধৱে বহু বিচার করে BDSDD BDBDSDDBB TOuBDSDBB D BDBB KLBD DS DBD SSDDDSS বলা যেতে পারে- অর্থাৎ যার আর উত্তর নেই। কিন্তু যেহেতু আমি পণ্ডিত নই, সে কারণ আমি ও বিষয়ের একটি সহজ মীমাংসা করেছি, যা সহজ মানুষের কাছে সহজে গ্ৰাহ হতে পারে। আমার মতে শ্রুতির অর্থ হচ্ছে সেই স্বর, যা কানে শোনা যায়না; যেমন দর্শনের অর্থ হচ্ছে সেই সত্য, যা চোখে দেখা যায় না। যেমন দর্শন দেখবার জন্য দিব্যচক্ষু চাই, তেমন শ্রীতি শোনবার জন্য দিব্যকর্ণাচাই । বলা বাহুল্য, তোমার-আমার মতো সহজ মানুষদের দিব্যচক্ষুও নেই, দিব্যকর্ণও নেই ; তবে আমাদের মধ্যে কারো কারো দিব্যি চোেখও আছে, দিব্যি কানও আছে। ওতেই তো হয়েছে মুশকিল। চোখ ও কান সম্বন্ধে দিব্য এবং দিব্যি- এ দুটি বিশেষণ, কানে অনেকটা এক শোনালেও মানেতে ঠিক উলটো। সংগীতে যে সাতটি সাদা আর পাঁচটি কালো সুর আছে, এ সত্য পিয়ানো কিংবা হারমোনিয়ামের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে সকলেই দেখতে পাবেন। এই পাঁচটি কালো সুরের মধ্যে যে, চারটি কোমল। আর একটি তীব্ৰ— তা আমরা সকলেই জানি এবং কেউ-কেউ তাদের চিনিও। কিন্তু চেনা শুনো-জিনিসে পণ্ডিতের মনস্তুষ্টি হয় না। তঁরা বলেন যে, এ দেশে ঐ পাঁচটি ছাড়া আরো কালো এবং এমন কালো সুর আছে, যেমন কালো বিলেতে নেই। শাস্ত্ৰমতে সে-সব হচ্ছে অতিকোমল ও অতিতীব্র। ঐ নামই প্ৰমাণ যে, সে-সব অতীন্দ্ৰিয় সুর এবং তা শোনবার জন্যে দিব্যকর্ণ চাইযা তোমার-আমার তো নেই, শাস্ত্রীমহাশয়দেরও আছে কিনা সন্দেহ । আমার বিশ্বাস, তাদেরও নেই। শ্যুতি সেকালে থাকলেও একালে তা স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। স্মৃতিই যে শ্রুতিধরদের একমাত্র শক্তি, এ সত্য তো জগদবিখ্যাত। সুতরাং এ কথা নিৰ্ভয়ে বলা যেতে পারে যে, সংগীত সম্বন্ধে পরের মুখে ঝাল খাওয়া, অর্থাৎ পরের কানে মিষ্টি শোনা, র্যাদের অভ্যাস— শুধু তাদের কাছেই শ্রুতি শ্রুতিমধুর। আমি স্থির করেছি যে, আমাদের পক্ষে ঐ বারোই ভালো ; অবশ্য সাতপাঁচ ভেবেচিন্তে। ও দ্বাদশকে ছাড়তে গেলে, অর্থাৎ ছাড়লে, আমাদের কানকে একাদশী করতে হবে। আর ধরুন, যদি ঐ দ্বাদশ সুরের ফঁাকে ফঁাকে সত্যসত্যই শ্রুতি থাকে, তা হলে সে-সব স্বর হচ্ছে অনুস্বর। সা- এবং নি- র অন্তভূর্ত দশটি সুরের গায়ে যদি কোনো
পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬২
অবয়ব