পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ ዓ8 বীরবলের হালখাতা করে তুলতে পারে নি। ভক্তির রস আমাদের বুকে ও মুখে গড়িয়েছে, আমাদের ও হাতে তা জমে নি। ফলে, এক গান ছাড়া আর-কিছুকেই আমরা নবকাপ দি এ-সব কথা যদি সত্য হয়, তা হলে স্বীকার কবতেই হবে যে, আমাদের রূপজল্লানেৰ অভাবটা আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দেয় না। কিন্তু এ কথা মুখ ফুটে বললে আমাদের দেশের অন্ধের দল লগুড ধারণ করবেন। এব। কারণ কী, তা বলছি। সত্য ও সৌন্দর্য, এ দুটি জিনিসকে কেউ উপেক্ষা করতে পাবেন না। হয় এদেৰ ভক্তি করতে হবে, নয় অভিক্তি করতে হবে। অর্থাৎ সত্যকে উপেক্ষা কবলে মিথ্যাৰ আশ্রয় নিতে হবে ; আর সুন্দরকে অবজ্ঞা করলে কুৎসিতের প্রশ্ৰয় দিতেই হবে। এ পৃথিবীতে যা-কিছু আছে, তা দুই শ্রেণীতে বিভক্ত- এক সু, আব-এক কু। সু-বে অর্জন না করলে কু-কে বজন করা কঠিন। আমাদের দশাও হয়েছে তাই। আমাদের সুন্দরের প্রতি যে অনুরাগ নেই, শুধু তাই নয়, ঘোরতর বিরাগ আছে। আমরা দিনে-দুপুরে চীৎকার করে বলি যে, সাহিত্যে যে ফুলের কথা জ্যোৎস্নার কথা লেখে সে লেখক নিতান্তই অপদাৰ্থ । এদের কথা শুনলে মনে হয় যে, সব ফলই যদি ডুমুর হয়ে ওঠে। আর অমাবস্য যদি বারোমেসে হয়, তা হলেই এ পৃথিবী ভূস্বৰ্গ হয়ে উঠবে। ; এবং সে স্বর্গে অবং কোনো কবির স্থান হবে না। চন্দ্ৰ যে সৌরমণ্ডলের মধ্যে একটি প্রক্ষিপ্ত গোলক সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ও রিফ্লেক্টর ভগবান আকাশে ঝুলিয়ে দিয়েছেন সুতরাং জ্যোৎস্না ষে আছে, তার জন্য কবি দায়ী নন, দায়ী স্বয়ং ভগবান। কিন্তু এই জ্যোৎসাবিদ্বেষ থেকেই এদের প্রকৃত মনোভাব বোঝা যায়। এ রাগটা আসলে আলোর উপর রাগ। জ্ঞানের আলোক যখন আমাদের চোখে পুরোপুরি সয় না, তখন রূপের আলোক যে মোটেই সইবে না।-- তাতে আর বিচিত্র কী। জ্ঞানের আলে বস্তুজগৎকে প্ৰকাশ করে, সুতরাং এমন অনেক বস্তু প্ৰকাশ করে, যা আমাদের পেটের ও প্ৰাণের খোৱাক জোগাতে পারে ; কিন্তু রূপের আলো শুধু নিজেকেই প্ৰকাশ করে, সুতরাং তা হচ্ছে শুধু আমাদের চোখের ও মনের খোরাক। বলা বাহুল্য উদর ও প্ৰাণ প্রোটােপ্ল্যাজম এরও আছে, কিন্তু চোখ ও মন শুধু মানুষেরই আছে। সুতরাং যারা জীবনের অর্থ বোঝেন একমাত্র বেঁচে থাকা এবং তজ্জন্য উদরপূর্তি করা, SkDD DBBD S TBB BDLK SLD BD YSE DYS DBDBDBYSS Sg DDD