বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भला-जभांलां5िभ No বরং তার পরিচয় গোপন করাই হয় । বাংলা-সরস্বতীকে ছদ্মবেশ না পারলে যে তঁকে সমাজে বার করা চলে না, এ কথা আমি মানি নে । এই নামের উদাহরণ-কটি টেনে আনবার উদ্দেশ্য, আমার সেই প্ৰথম কথার প্রমাণ দেওয়া । সে কথা এই যে, বঙ্গসাহিত্যের ভিতর সমালোচনার মতো নামকরণেও বিজ্ঞাপনের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞাপনের আর-পাঁচটা দোয্যের ভিতর একটা হচ্ছে তার ন্যাকামি। ন্যাকামির উদ্দেশ্য হচ্ছে সহজে লোকপ্রিয় হওয়া, এবং তার লক্ষণ হচ্ছে ভাবে এবং ভাষায় মাধুর্যের ভান এবং ভঙ্গি। বঙ্গসাহিত্যে ক্ৰমে যে তাই প্ৰশ্ৰয় পাচ্ছে, সেইটো দেখিয়ে দেবার জন্যে আমার এত কথা বলা । আমরা এতটাই কোমলের ভক্ত হয়ে পড়েছি যে, শুদ্ধ স্বরকেও কোমল করতে গিয়ে বিকৃত করতে আমরা তিলমাত্র দ্বিধা করি নে। কথায় বলে, “যত চিনি দেবে ততই মিষ্টি হবে” । কিন্তু শর্করার ভাগ অতিরিক্ত হলে মিষ্টান্নও যখন অখাদ্য হয়ে ওঠে, তাতে আর সন্দেহ কী। লেখকেরা যদি ভাষাকে সুকুমার করবার চেষ্টা ছেড়ে দিয়ে তাকে সুস্থ এবং সবল করবার চেষ্টা করেন, তা হলে বঙ্গসাহিত্যে আবার প্রাণ দেখা দেবে। ভাষা যদি প্ৰসন্ন হয়, তা হলেও তার কর্কশতাও সহ্য হয়। এ এতই সোজা কথা যে, এও যে আবার লোককে বোঝাতে হয়, এই মহা আপসোসের বিষয়। যখন বঙ্গসাহিত্যে অন্ধকার আর “বিবাজ করবে না, তখন এ বিষয়ে আর কাবো ‘মনোযোগ আকর্ষণ” করবার দরকারও इश्व भां । ఇ@లq రిసె