পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীরবলের হালখাতা পায়ের নীচে হচ্ছে জড়াজগৎ, আর তার মাথার উপরে মনোজগৎ । প্ৰাণের ধর্ম যে, জীবনপ্রবাহ রক্ষা করা, নবনব সৃষ্টির দ্বারা সৃষ্টি রক্ষা করা- এটি সর্বলোকবিদিত। কিন্তু প্ৰাণের আর-একটি বিশেষ ধৰ্ম আছে, যা সকলের কাছে সমান প্ৰত্যক্ষ নয়। সেটি হচ্ছে এই যে, প্ৰাণ প্ৰতিমুহূর্তে রূপান্তরিত হয়। হিন্দুদর্শনের মতে জীবের প্ৰাণময় কোষ, অন্নময় কোষ ও মনোময় কোষের মধ্যে অবস্থিত। প্ৰাণের গতি উভয়মুখী। প্ৰাণের পক্ষে মনোময় কোষে ওঠা এবং অন্নময় কোষে নামা দুই সম্ভব। প্ৰাণ অধোগতি প্ৰাপ্ত হয়ে জড়াজগতের অন্তভূর্ত হয়ে যায় ; আর উন্নত হয়ে মনোজগতের অন্তভূর্ত হয়। মনকে প্ৰাণের পরিণতি এবং জড়কে প্ৰাণের বিকৃতি বললেও অত্যুক্তি হয় না। প্ৰাণের স্বাভাবিক গতি হচ্ছে মনোজগতের দিকে ; প্ৰাণের স্বাধীন স্মৃতিতে বাধা দিলেই তা জড়তাপ্ৰাপ্ত হয়। প্ৰাণ নিজের অভিব্যক্তির নিয়ম নিজে গড়ে নেয় ; বাইরের নিয়মে তাকে বদ্ধ করাতেই সে জড়াজগতের অধীন হয়ে পড়ে। যেমন প্ৰাণীজগতের রক্ষার জন্য নিত্য নূতন প্ৰাণের সৃষ্টি আবশ্যক, ং সে স্বষ্টির জন্য দেহের যৌবন চাই ; তেমনি মনোজগতের এবং তদধীন কর্মজগতের রক্ষার জন্য সেখানেও নিত্য নব সৃষ্টির আবশ্যক, এবং সে সৃষ্টির জন্য মনের যৌবন চাই। পুরাতনকে আঁকড়ে থাকাই বার্ধক্য অর্থাৎ জড়তা। মানসিক যৌবন লাভের জন্য প্ৰথম আবশ্যক, প্ৰাণশক্তি যে দৈবী শক্তি- এই বিশ্বাস । এই মানসিক যৌবনই সমাজে প্ৰতিষ্ঠা করা হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য। এবং কী উপায়ে তা সাধিত হতে পারে, তাই হচ্ছে আলোচ্য। আমরা সমগ্ৰ সমাজকে একটি ব্যক্তিহিসেবে দেখলেও আসলে মানবসমাজ হচ্ছে বহুব্যক্তির সমষ্টি। যে সমাজে বহু ব্যক্তির মানসিক যৌবন আছে, সেই সমাজেরই যৌবন আছে। দেহের যৌবনের সঙ্গে সঙ্গেই মনের যৌবনের আবির্ভাব হয়। সেই মানসিক যৌবনকে স্থায়ী করতে হলে শৈশব নয়, বার্ধক্যের দেশ আক্রমণ এবং অধিকার করতে হয়। দেহের যৌবনের অন্তে বার্ধক্যের রাজ্যে যৌবনের অধিকার বিস্তার করবার শক্তি আমরা সমাজ হতেই সংগ্ৰহ করতে পারি। ব্যক্তিগত জীবনে ফাস্তুন BBDB BB S LDBzS gDDD BBB DDDLLL DDS SDBD BBO DLK DB BD বিরাজ করছে। সমাজে নূতন প্ৰাণ, নূতন মন, নিত্য জন্মলাভ করছে। অর্থাৎ BDB BgDS BBDB DiDDS BBD DBBBBS DBB BDBDBD DC DBD DBD DDD উদয় হচ্ছে। সমগ্র সমাজের এই জীবনপ্রবাহ যিনি নিজের অন্তরে টেনে নিতে পারবেন, তঁর মনের যৌবনের আর ক্ষয়ের আশঙ্কা নেই। এবং তিনিই আবার কথায় ও কাজে সেই যৌবন সমাজকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন।