১৬ वैौज़ कलझ मार्फेद । হস্তে কুরুকুল সমূলে নিৰ্ম্মল হবে। যদি অদ্য লক্ষ লক্ষ কুরুসৈন্য আমার হস্তে নিহত না হয়, তা হলে আমি মহাবীর পার্থের ঔরযজাত ও সুভদ্রার গৰ্ত্তজাত নই। যদি আমি এক . মাত্র রথে আরোহণ করে নিখিল ক্ষত্রিয়গণকে শতধt খণ্ড খণ্ড করতে না পারি, তা হলে আমি আমাকে অর্জুনের পুত্র বলে স্বীকার করব না । যুধি । বৎস! তোমার কথা কথা নয়, অমৃত । তোমার বল দ্বিগুণ বৃদ্ধি হোক। আশীৰ্ব্বাদ করি, তুমি চক্রব্যুহ ভেদ করে কৌরবগণকে বিনাশ কর। ভীম । বৎস । আজ তোমার কথায় আমাদের ভরসা হল । এস, তোমার শিরশ্চ স্থন করি—তোমায় আলিঙ্গন করি। (উভয়ে অভিমনু্যর শিরশচুম্বন ও আলিঙ্গন) যুধি । বীরদেহ আলিঙ্গনে শরীর সুস্থ হল । যুধিষ্ঠির ও ভীমের প্রস্থান। অভি। বীরপ্রতিজ্ঞ বলছে “ যাও, যাও, যুদ্ধে যাও —অবিলম্বে ব্যুহ ভেদ করে পিতৃকুলকে সস্তুষ্ট কর” ।——অগ্রসর হচ্ছি— অমনি প্রণয় এসে বলছে “ একটু অপেক্ষণ কর, একবার সেই চন্দ্ৰবদন দেখে যাও । সুখ দুঃখের, বিষাদ হর্ষের চির সহচরী, পক্তিপ্রাণ উত্তরার চন্দ্ৰবদন একবার দেখে যাও ।” কার কথা রক্ষা করি ? মন প্রণয়ের আজ্ঞানুবৰ্ত্তী হচ্ছে।—বীর প্রতিজ্ঞ। পরাস্ত হল। প্রণয়ের আকর্ষি মনকে আকর্ষণ করছে—একবার প্রিয়তম৷ উত্তরার সহিত সাক্ষাৎ করেই যাই। যুদ্ধে যদি মৃত্যু হয় হয় ত এই শেষ দেখা । আবার ও কি? আবার ও কে মনকে অাকর্ষণ করছে? হৃদয়দ্বারে ঘন ঘন আঘাত করছে, আর বলছে——“তুমি তোমার মাতৃচরণ দর্শন করে যাও।
