“শোনো তবে, প্রথমে মালির বাড়ি কেমন তা বলি শোনো,” বলে খটাস খনার বচন আরম্ভ করলে:
চৌদিকে প্রাচীর উচা কাছে নাই গলি কুচা
পুষ্প বনে ঢাকে রবি শশি
নানা জাতি ফোটে ফুল উড়ি বৈসে অলি কুল
কোকিল কুহুরে দিবা নিশি।
মন্দ-মন্দ সমীরণ বহে সেথা অনুক্ষণ
বসন্ত না ছাড়ে এক তিল!
রিদয় বলে উঠল—“এখানে তো ফুলের গন্ধ মোটেই পাচ্ছিনে! তবে এটা মালির ঘর নয়।”
“আচ্ছা, গন্ধে-গন্ধে বোঝো এটা তেলির বাড়ি কিনা,” বলেই খটাস আবার শুরু করলে:
সরষের ঝাঁঝে তেলি হাঁচে ফ্যেঁচ-ফ্যেঁচ
বলদেতে ঘানি টানে ঘ্যেঁচ-ঘ্যেঁচ ভ্যেঁচ।
নেউল বাতাসে নাক উঁচিয়ে বললে—“কই হাঁচি তো পাচ্ছে না! তবে এটা তেলির বাড়ি নয়, মালির বাড়িও নয়।”
“কুমোর বাড়ি কিনা দেখ তো,” বলে খটাস শোলক আওড়ালে:
হাঁড়ি পাতিল ঠুকুর ঠাকুর কলসীর কাঁধা
পাতখোলার সোঁদা গন্ধ কুমোর বাড়ি বাঁধা।
রিদয় এদিক-ওদিক নাক ঘুরিয়ে বললে—“নাঃ, কোনো গন্ধই পাচ্ছিনে!”
১৭২