পাতা:বুদ্ধদেব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ব্রহ্মবিহার

ব্রহ্মবিহারের এই সাধনার পথে বুদ্ধদেব মানুষকে প্রবর্তিত করবার জন্যে বিশেষরূপে উপদেশ দিয়েছেন। তিনি জানতেন কোনো পাবার যোগ্য জিনিস ফাঁকি দিয়ে পাওয়া যায় না, সেইজন্যে তিনি বেশি কথা না ব’লে একেবারে ভিত খোঁড়া থেকে কাজ আরম্ভ করে দিয়েছেন।

 তিনি বলেছেন, শীল গ্রহণ করাই মুক্তিপথের পাথেয় গ্রহণ করা। চরিত্র শব্দের অর্থই এই যাতে করে চলা যায়। শীলের দ্বারা সেই চরিত্র গড়ে ওঠে; শীল আমাদের চলবার সম্বল।

 পাণং ন হানে: প্রাণীকে হত্যা করবে না—এই কথাটি শীল। ন চাদিন্নমাদিয়ে: যা তোমাকে দেওয়া হয় নি তা নেবে না— এই একটি শীল। মুসা ন ভাসে: মিথ্যা কথা বলবে না— এই একটি শীল। ন চ মজ্জপো সিয়া: মদ খাবে না— এই একটি শীল। এমনি করে যথাসাধ্য একটি একটি ক’রে শীল সঞ্চয় করতে হবে।

 আর্যশ্রাবকেরা প্রতিদিন নিজেদের এই শীলকে স্মরণ করেন: ইধ অরিয়সাবকো অত্তনো সীলানি অনুসরতি।

 শীলসকলকে কী বলে অনুস্মরণ করেন?

 অখণ্ডানি, অচ্ছিদ্দানি, অসবলানি, অকস্মাসানি, ভুজিস্—

১৩