পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভূমিকা
(অধ্যাপক শ্রীযুক্ত ক্ষিতিমোহন সেন, এম্এ মহাশয় কর্তৃক লিখিত)

 মহাকবি কালিদাস তাঁহার মহাকাব্যের প্রারম্ভে পূর্ব্ববর্ত্তী কবিগণের চরণে প্রণাম করিতে গিয়া এই চমৎকার কথাটি বলিয়া ফেলিয়াছেন যে যাঁহারা শক্তিমান তাঁহারা বজ্রসূচীর ন্যায় শক্তিশালী। সকল মহাজীবনী রত্নের ন্যায় উজ্জ্বল ও রত্নেরই ন্যায় কঠিন। সেই সব জীবনী মানুষ ব্যবহার করিত কেমন করিয়া যদি না মহাকবি তাঁহাদিগকে সর্ব্বমানবের গ্রহণযোগ্য করিতেন? হীরকের সূচী যেমন রত্নের মধ্যে ছিদ্র করিয়া তাহাকে সর্ব্বলোক লভ্য করিয়া দেয় তখন যে-কেহ সেই রত্নে সুত্র প্রবেশ করাইয়া কণ্ঠে ধারণ করিতে পারে, তেমনি যাঁহারা কবি ও শক্তিমান তাঁহারা এই জগতের রত্নবৎ ভাস্বর ও রত্নবৎ দৃঢ় মহাপুরুষ চরিত্রকে সকলের গ্রহণীয় করিয়া দেন। এমন দুঃসাধ্য কর্ম্মে কালিদাসও হাত দেন নাই, তিনি পূর্ব্ববর্ত্তী মহাকবিগণের কৃত রন্ধ্র আশ্রয় করিয়া তাঁহার কাব্যমালা গাঁথিয়াছিলেন। বজ্রসূচীর কর্ম্ম নিজে করিতে সাহস পান নাই। অন্ততঃ এইরূপ একটা বিনয় গ্রন্থারম্ভে তিনি করিয়াছেন। কিন্তু আমরা অল্পশক্তি বলিয়াই সেইরূপ বিনয় বাদ দিয়া থাকি। আমার ন্যায় লোককেও যে এইরূপ একখানি ভক্তচরিত গ্রন্থের ভূমিকা লিখিয়া গ্রন্থখানিকে গ্রহণযোগ্য করিয়া দিতে হইবে তাহা কে জানিত? অনেক অনুনয় বিনয় কাকুতি