পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বুদ্ধের জীবন ও বাণী

 মহাপুরুষ বুদ্ধের যাহা বক্তব্য, তাহা তিনি এমন সুস্পষ্ট করিয়া অসঙ্কোচে অনন্যসুলভ সরলতা ও প্রাঞ্জলতার সহিত বলিয়াছেন যে, তাহা অনায়াসে মানবহৃদয়ে প্রবেশলাভ করিয়াছে। আবার যাহা পাওয়া যায়, অনুভব করা যায়, কিন্তু যাহা বাক্যে বলা যায় না, তাহার সম্বন্ধে তিনি একেবারেই নির্ব্বাক্ ছিলেন। তিনি সর্ব্বমানবকে ডাকিয়া কহিয়াছেন—তোমরা জড়তা ত্যাগ করিয়া জাগরিত হও; রোগ যাহাদিগকে পীড়া দেয়, দুঃখ শোকের বাণে যাহাদের হৃদয় বিদ্ধ হয়, নিদ্রা কি তাহাদের শোভা পায়? তোমরা জড়তা ত্যাগ করিয়া জাগরিত হও, শান্তিলাভের জন্য তোমরা অনলস দৃঢ়তা অবলম্বন কর; তোমাদিগকে প্রমত্ত জানিয়া মৃত্যুরাজ তোমাদের অনুসরণে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, সাবধান তিনি যেন তোমাদিগকে মূঢ় প্রতিপন্ন করিয়া তাঁহার অধিকারে লইয়া না যান।

 তোমরা শুভমুহূর্ত্ত চলিয়া যাইতে দিও না, দেবমানব যে বাসনার অধীন, তোমরা ত্বরায় সেই বাসনাকে জয় কর; সুযোগ হারাইলে নিরয়গামী হইয়া একদিন তোমাদিগকে অনুতাপ করিতেই হইবে।

 প্রমাদই কলুষতা অতএব অপ্রমাদ ও জ্ঞানের আশ্রয় গ্রহণ করিয়া কামনার শরটি তুলিয়া ফেল।

 বুদ্ধের সহজ বাক্যগুলি কি ঋজু, কি হৃদয়স্পর্শী। তিনি মানবের নিকটে ধর্ম্মপ্রচার করিতে যাইয়া, অবিচলিত দৃঢ়তার সহিত কহিলেন—আমি তোমাকে যে ধর্ম্মে আহ্বান করিতেছি, তাহা মঙ্গল, তাহা অনবদ্য, তাহা সুধীজনের নিকট প্রশস্ত। এই ধর্ম্মাচরণ করিলে তুমি সুখ ও কল্যাণ লাভ করিবে। আইস হে

৭৮