যথাগারং সুচ্ছনং বুট্ঠী ন সমতি বিজ্ঝতি।
এবং সুভাবিতং চিত্তং রাগো ন সমতি বিজ্ঝতি॥
যেমন সুন্দররূপে আচ্ছাদিত গৃহ ভেদ করিয়া বৃষ্টি প্রবেশ করিতে পারে না, সেইরূপ সুভাবিত চিত্ত ভেদ করিয়া পাপাসক্তি প্রবেশ করিতে পারে না।
বৌদ্ধনীতি মানবকে পাপ হইতে নিবৃত্ত করিয়া কল্যাণের পথে আহ্বান করিয়াই ক্ষান্ত হয় নাই, মানবকে অতন্দ্রিত হইয়া পুণ্য কর্ম্ম সাধন করিতে বলিতেছে। বুদ্ধ বলিতেছেনঃ—
অভিত্থরেথ কল্যাণে পাপা চিত্তং নিবারয়ে।
দন্ধং হি করাতে পুঞ্ঞং পাপস্মিং রমতী মনো॥
কল্যাণলাভের জন্য তোমরা অতি ত্বরায় ধাবমান হও, পাপ হইতে মনকে নিবৃত্ত কর। আলস্যের সহিত পুণ্যকর্ম্ম করিলে মন পাপে রত হইয়া থাকে।
বুদ্ধদেব বাহ্য অনুষ্ঠানক্রিয়াকলাপের উপকারিতায় বিশ্বাস করিতেন না; প্রাণহীন শ্রদ্ধাহীন পুণ্য কার্য্যও তেমনি তিনি অকল্যাণকর মনে করিতেন। যতক্ষণপর্য্যন্ত আমরা অনুরাগের সহিত পুণ্যকার্য্য না করি, ততক্ষণপর্য্যন্ত সেগুলি আমাদের নিকট সুখকর ও কল্যাণকর হয় না। এইজন্য পুণ্যকর্ম্ম পুনঃ পুনঃ শ্রদ্ধাপূর্ব্বক করিতে হয়। তাহা হইতেই ঐ পুণ্যানুষ্ঠানগুলির প্রতি আমাদের হৃদয়ের স্বাভাবিক প্রবণতা জন্মিয়া থাকে। বুদ্ধ বলিতেছেন—
পুঞ্ঞঞ্চে পুরিসো করিয়া করিয়াথেনং পুনপ্পুনং।
তম্হি ছন্দং কয়িরাথ মুখে পুঞ্ঞস্স উচ্চয়ো॥