বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বৌদ্ধকর্ম্ম

গ্রহণ করে। শুভাশুভ কর্ম্ম আমাদিগকে পরিণাম হইতে পরিণামান্তরে জন্ম হইতে জন্মান্তরে লইয়া যায়। কর্ম্মের এই প্রভুশক্তি ইচ্ছামাত্রেই বিনাশ করিতে পারা যায় না। সাধনার প্রারম্ভেই কোন সাধকের মনে করা উচিত নহে, যেহেতু শুভাশুভ সর্ব্ববিধ কর্ম্মই আমার পুনঃপুনঃ জন্মগ্রহণের হেতু হইয়া মুক্তিলাভে বাধা প্রদান করিতেছে, সেইজন্য আমি এখন হইতে পাপ পুণ্য উভয় কর্ম্মই বর্জ্জন করিলাম। বৌদ্ধেরা বলেন, তৃষ্ণাক্ষয়ের দ্বারা আপনার ব্যক্তিত্ব-বিলোপের পূর্ব্বে একথা বলিবার অধিকার কোন সাধকেরই নাই। তিনি ঐ যে জোর করিয়া আপনার মনকে বলাইলেন, আমি পাপ পুণ্য কোন কাজই করিব না, তাহার ঐ গোঁড়ামি হইতেই নূতন সংস্কারের উদ্ভব হইবে। এই গোঁড়ামি তাহার কর্ম্ম হইল এবং ইহার পরিণাম তাহাকে ভুগিতে হইবেই। বেঙাচি যখন স্বাভাবিক নিয়মে বাড়িতে থাকে, তখন একদিন আপনা-আপনিই তাহার লেজ খসিয়া পড়ে, এইজন্য কোন বলপ্রয়োগের দরকার হয় না; বরং জোর করিয়া অকালে লেজ খসাইয়া দিলে তাহার গুরুতর অনিষ্ট ঘটিবারই কথা। সাধনার ক্ষেত্রও অগ্রসর হইতে হইতে সাধক হইতে যেদিন ব্যক্তিত্ব হারাইয়া ফেলেন সেইদিন তাহার তৃষ্ণার ক্ষয় হয়। এই সময়ে তিনি কর্ম্মের উপর প্রভুত্ব লাভ করেন। ইহার পূর্ব্বে জোর খাটাইতে গেলে কোন সুফল ফলিতে পারে না।

 কর্ম্ম একদিকে যেমন আমারই সৃষ্টি, অন্যদিক হইতে এই কর্ম্ম আবার আমারই স্রষ্টা। কর্ম্মের পরাক্রম হইতে মুক্তিলাভ-ব্যাপারটি সাধারণ শিক্ষণীয় বিষয় নহে, ইহা জীবন দিয়া সাধনীয়

১০৫