কারণ তাঁহার ব্যবহার বিশুদ্ধ। বিশুদ্ধ অন্ন গ্রহণ করিয়া তিনি বিমল আনন্দ লাভ করেন, কারণ সাধুজীবিকা তাঁহার অবলম্বন। সাধু প্রচেষ্টাই তাঁহার পাদক্ষেপ, কারণ তিনি কদাচ সংযমকে অতিক্রম করেন না। সম্যক্ স্মৃতি তাঁহার নিঃশ্বাস, কারণ সাধুচিস্তা শ্বাসপ্রশ্বাসের ন্যায় তাঁহার নিকট সহজ হইয়া থাকে। সম্যক্ ধ্যান তাঁহার শান্তি, কারণ জীবনের গভীরতমতত্ত্বসমূহের মনন ও ধ্যান দ্বারা তিনি শান্তি লাভ করিয়া থাকেন।
বুদ্ধত্বলাভের অর্থ আপনার ভিতরের বৃহৎ সত্যসম্বন্ধে বোধলাভ। সাধারণ জ্ঞান দ্বারা মানুষ যাহা জানে, তাহা খণ্ড জ্ঞান। কিন্তু মানুষের অধ্যাত্মদৃষ্টি যখন খুলিয়া যায়, তখন খণ্ডজ্ঞানের প্রাচীর ভাঙ্গিয়া যাইবামাত্র সমগ্রের মূর্ত্তি তাহার নিকট প্রকাশিত হয়। এই দৃষ্টি মানুষের যতদিন না প্রস্ফুটিত হয়, ততদিন সে ব্যক্তিত্বের সংকীর্ণ অন্ধকারময় গণ্ডীর মধ্যে বাস করে।
ভগবান্ বুদ্ধদেব যে সাধনপ্রণালীর কথা বলিলেন, তাহার স্থূল মর্ম্ম—আমিত্বের প্রসার দ্বারা আপনার ভিতরকার বৃহৎ সত্যকে জানা; অথবা ব্যক্তিগত জীবনকে একেবারে বিশ্বজীবনের সহিত একীভূত করিয়া দেওয়া।
সাধনা দ্বারা অধ্যাত্মদৃষ্টি লাভ হইলে, আন্তররাজ্যের যে রহস্য মানুষের কাছে প্রকাশিত হয়, তাঁহাকে ব্রহ্মই বল, আল্লাই বল, হোলিগোষ্টই বল, ধর্ম্মকায়ই বল, আর যে-কোন নামই দাও না, মূলে কোন প্রভেদ হইবেই না; একই নিগূঢ় সত্যকেই সূচিত করিবে।
ভগবান্ বুদ্ধদেবের উপদেশ হইতে আমরা যাহা বুঝি, তাহাতে