পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বুদ্ধের জীবন ও বাণী

 (গ) বহুসত্য, শিল্প ও বিনয়শিক্ষা এবং উত্তম বাক্যকথন।

 (ঘ) পিতামাতার সেবা, স্ত্রীপুত্রের হিতসাধন, অব্যাকুল কর্ম্ম।

 (ঙ) দান, অনবদ্য, কর্ম্ম ও জ্ঞাতিবর্গের হিতসাধন।

 (চ) পাপে অরতি, মদ্যপানে বিরতি এবং ধর্ম্মসাধনে উদ্যম।

 (ছ) গৌরব, বিনয়, তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা।

 (জ) ক্ষমা, প্রিয়বাক্য, সাধুদর্শন।

 (ঝ) ব্রহ্মচর্য্য, তপশ্চর্য্যা ও আর্য্য সত্যদর্শন।

 (ঞ) লোকনিন্দায় অচাঞ্চল্য, শোকে তাপে হৃদয়ের স্থৈর্য্য।

 সর্ব্বপ্রকার দুঃখ হইতে মুক্তি লাভ করিবার জন্য কি গভীর সংযমের এবং মঙ্গলব্রতের প্রতি কি গভীর অনুরাগ আবশ্যক, তাহা সহজেই অনুমিত হইতে পারে। বৌদ্ধসাধক যাগযজ্ঞক্রিয়াকাণ্ডে বিশ্বাস করেন না, তাঁহার পুরোহিত নাই, উদ্ধারকর্ত্তা গুরু নাই। সাধনার পথে তিনি সম্পূর্ণ একাকী, মানুষ বড়জোর তাঁহাকে পথটি দেখাইয়া দিতে পারেন, এইমাত্র। একমাত্র আত্মশক্তিতে সমগ্রপথ বহিয়া তাঁহাকে চরম লক্ষ্যে পঁহুছিতে হইবে। মৃত্যুশয্যায় ভগবান্‌ বুদ্ধ তাঁহার উপস্থায়ক আনন্দকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছেন—ভাই আনন্দ, আমার জীবনের আশী বৎসর অতীত হইল, আমার দিন ফুরাইয়াছে, আমি এক্ষণে চলিলাম; দেখ, আমি এতকাল নির্ভয়ে নিজের উপর নির্ভর করিয়া চলিয়াছি। তোমরাও আত্মনির্ভর শিক্ষা কর। তোমরা নিজেরাই নিজের প্রদীপ হও, নিজেরাই নিজের নির্ভর-দণ্ড হও। সত্যের আশ্রয়

১১৪