পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বুদ্ধের জীবন ও বাণী

পবিত্র তীরে সিদ্ধার্থ ছয় বৎসর কাল কঠোর সাধনায় প্রবৃত্ত রহিলেন।


পঞ্চম অধ্যায়

——ঃ০ঃ——

সাধনা ও বোধিলাভ

 মহাপুরুষদের বিশেষত্ব এই যে, তাঁহারা মনুষ্যত্বকে মনোমোহন নব শ্রী দান করিয়া থাকেন। শর্করা যেমন জলের সহিত সর্ব্বতোভাবে গলিয়া-মিশিয়া জলকে মধুর করে, মহাপুরুষেরাও তেমনি মানবজাতির সাধনাসমুদ্রে তাঁহাদের জীবনের সাধনার ধারা মিশাইয়া দিয়া মানবসাধনাকে নবীন গৌরব দান করেন। একনিষ্ঠ সাধনার দ্বারা মানব আপনার চরম সাফল্য নিজের চেষ্টাতেই অর্জ্জন করিতে পারেন; মানব আপনিই আপনার ভাগ্যনিয়ন্তা এবং আপনিই আপনার উদ্ধারকর্তা; মুক্তিলাভের জন্য তাঁহার দ্বিতীয় কোন অবলম্বনের প্রয়োজন নাই—মহাপুরুষ সিদ্ধার্থের সাধনা মানবত্বকে এই গৌরবমুকুট পরাইয়া দিয়াছে।

 সিদ্ধার্থ যে সাধনায় বিজয়ী হইয়া মানবত্বের শিরে এই গৌরবমুকুট পরাইয়াছেন, সেই সাধনপ্রণালী নিৰ্দ্ধারণ করিতে তাঁহাকে বহু সংগ্রাম করিতে হইয়াছে। তিনি শাস্ত্রের আশ্রয় ত্যাগ করিয়া, গুরুদের আশ্রয় ত্যাগ করিয়া, আপনিই আপনার অবলম্বন হইলেন।

২২