
ঈড্যো বন্দ্যশ্চ। অথর্ব্ব ৫,১২,৩
ইমা ব্রহ্ম ক্রিয়ত আবর্হিঃ সীদ। অথর্ব্ব ২৪,২৩,২৩
স চেতসো মে শৃণুতেদ মুক্তম্। অ ১,৩০,২
দদামি তদ্ যৎ তে অদত্তো অস্মি।
দেহিনু মে যন্ মে অদত্তো অসি।
সখা নো অসি পরমং চ বন্ধুঃ॥ অথর্ব্ব ৫,১১
হে অর্চ্চনীয়, হে বন্দনীয়, এই কয়টি ব্রহ্মবাণী রচিত হইয়াছে, তুমি এই আসনে উপবেশন কর। মনোযোগ করিয়া আমার এই উক্তি শ্রবণ কর। তোমাকে যাহা আমার দেওয়া হয় নাই, তাহা আজ আমি তোমার চরণে নিবেদন করিতেছি। তুমিও যাহা আমাকে এখনও দাও নাই, তাহা আমাকে দাও। তুমি যে আমাদের সকলের সখা, আমাদের সকলের পরম বন্ধু।
যিনি সমগ্র জগতের কবি, এই আশ্রমের আচার্য্য এবং আমাদের অর্চ্চনীয় ও বন্দনীয় সেই পূজ্যপাদ আচার্য্য শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের শ্রীচরণে আমার রচিত এই সামান্য অঞ্জলি ভক্তিভরে নিবেদন করিতেছি। তিনি কৃপাপূর্ব্বক ইহা গ্রহণ করিয়া তাঁহার প্রসন্ন আশীর্ব্বাদের দ্বারা আমাকে চরিতার্থ করুন।
শান্তিনিকেতন,
২৫এ বৈশাখ, ১৩২১
ভক্তি-প্রণত
শ্রীশরৎকুমার রায়।