উপাসকদের প্রধান বাসভূমি ছিল। সুবিখ্যাত কাশ্যপ ইহাদের আচার্য্য ছিলেন। বুদ্ধ এই প্রবীণ আচার্য্যের ভবনে আতিথ্য গ্রহণ করিলেন। তাঁহার প্রশান্ত মুখকান্তি, মধুর ব্যবহার, সুখকর ও কল্যাণকর প্রসঙ্গ কাশ্যপকে মুগ্ধ করিল। বৃদ্ধ কাশ্যপ এই প্রতিভাশালী যুবক মহাপুরুষের শিষ্যত্ব স্বীকার করিতে কিছুমাত্র কুণ্ঠা বোধ করিলেন না। তাঁহার অনুগত জটিলগণও বুদ্ধের শরণাপন্ন হইল। তাহারা তাহাদের অগ্নিপূজার বিবিধ পাত্রাদি নদীগর্ভে নিক্ষেপ করিল।
উরুবিল্বে কাশ্যপের দুই ভ্রাতা নদীকাশ্যপ ও গয়াকাশ্যপ অদূরেই বাস করিতেন। তাঁহারা নদীস্রোতে প্রবাহিত পূজাপাত্র দেখিয়া চিন্তিতমনে অনুচরগণের সহিত ভ্রাতার আশ্রমে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বুদ্ধ সেই স্থানে ভিক্ষুগণকে উপদেশ দেন—“ভিক্ষুগণ, এই সবই জ্বলিতেছে! তৃষ্ণার অগ্নিতে, দ্বেষের অগ্নিতে ও মোহের অগ্নিতে এই সবই জ্বলিতেছে; জন্ম জরা ব্যাধি মরণ শোকে দুঃখে এই সবই জ্বলিতেছে। এইরূপ ভাবিলে বিষয়ে নির্ব্বেদ উপস্থিত হয় এবং চিত্তে বিমুক্তি লাভ করা যায়। জটিলগণ বুদ্ধের মধুর উপদেশ শুনিয়া মুগ্ধ হইল এবং ধর্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করিল।”
কাশ্যপ ও অপর বহুসংখ্যক শিষ্যসহ বুদ্ধ উরুবিল্ব হইতে রাজগৃহে গমন করিলেন। তাঁহার আগমনবার্ত্তা শ্রবণ করিয়া নৃপতি বিম্বিসার, অনুচরগণ-সমভিব্যাহারে তাঁহার বাসভবনে উপস্থিত হইলেন। বুদ্ধের শান্তোজ্জ্বল মুখশ্রী দেখিয়া সমাগত ব্যক্তিবর্গ প্রীত হইলেন। তিনি তাহাদিগকে নবধর্ম্ম বুঝাইয়া দিলেন। তাঁহার সেই উপদেশের মর্ম্ম এই—“সকল পাপপরিত্যাগ, কুশলকর্ম্ম-সম্পাদন ও চিত্তের