(পাটলিপুত্র) গ্রামে আগমন করেন। শিষ্যদের অনুরোধে তিনি এখানকার বিশ্রামশালায় কিছুকালের জন্য অবস্থান করেন। বুদ্ধের উপদেশ শুনিবার জন্য একদিন সেখানকার উপাসকগণ সমবেত হইলেন। তিনি তাহাদিকে স্নেহকণ্ঠে কহিলেন—“প্রিয় শিষ্যগণ, সাধুপথ হইতে ভ্রষ্ট হইয়া অমঙ্গলকারীরা পঞ্চবিধ পরাভব প্রাপ্ত হইয়া থাকে:—প্রথমতঃ, দুষ্কৃতকারীকে কেহ বিশ্বাস করে না এবং সে নির্বীর্য্য হইয়া পড়ে বলিয়া দারিদ্র্য আসিয়া চারিদিক হইতে তাহাকে আক্রমণ করে। দ্বিতীয়তঃ, তাহার অপযশ অচিরে বহুদূর ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। তৃতীয়তঃ, সমাজে তাহার কোনো স্থান নাই, যে কোনো সমাজেই তাহাকে চোরের ন্যায় গোপনে ভিড়ের মাঝখানে লুকাইয়া চলিতে হয়। চতুর্থতঃ, মৃত্যুতেও তাহার শান্তি নাই, অজ্ঞাত বিভীষিকা ও উদ্বেগ লইয়া তাহাকে মরিতে হয়। পঞ্চমতঃ, মৃত্যুর পরে তাহার মন কিছুতেই শান্তিলাভ করিতে পারে না; দুষ্কৃতজনিত দুঃখ ও যাতন তখন তাহার মনের অনুসরণ করিতে থাকে।”
“হে গৃহিগণ, সাধুপথে বিহরণকারী ব্যক্তিরাও জীবনে পঞ্চবিধ জয়লাভ করিয়া থাকেন। প্রথমতঃ, লোকে তাঁহাদিগকে বিশ্বাস করে বলিয়া তাহারা সাধু চেষ্টা দ্বারা ঋদ্ধি লাভ করিয়া থাকেন। দ্বিতীয়তঃ, তাঁহাদের সুযশ দূরদূরান্ত ছড়াইয়া পড়ে। তৃতীয়তঃ, সমাজ তাঁহাদিগকে আদরে যথাস্থানে আসন প্রদান করে; তাঁহার নিজদের প্রতি আস্থাশীল বলিয়া অসঙ্কোচে সকলের সম্মুখে সমাজের মধ্যে বিহরণ করেন। চতুর্থতঃ, মৃত্যুসময়ে তাঁহার অকুণ্ঠিত চিত্তে মৃত্যুকে গ্রহণ করিয়া থাকেন। পঞ্চমতঃ, তাঁহাদের