পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বুদ্ধের জীবন ও বাণী

পরিনির্ব্বাণলাভের শুভদিন অদূবর্ত্তী।” এই সংবাদ শুনিয়া শোকে আনন্দের বুক ভাঙ্গিয়া গেল, তাঁহার চক্ষু জলে ভরিয়া উঠিল। তাঁহাকে শোকমুগ্ধ দেখিয়া বুদ্ধ দৃঢ়কণ্ঠে কহিলেন—“আনন্দ, তুমি কি বিশ্বাস হারাইয়া ফেলিয়াছ? আমি কি বারংবার বলি নাই যে, লোকের প্রিয়বস্তুর সহিত বিচ্ছেদ ঘটিবেই? যে জন্মগ্রহণ করিবে তাহারই মৃত্যু ঘটিবে ইহাই জগতের নিয়ম; সুতরাং আমার পক্ষে চিরকাল বাঁচিয়া থাকা কেমন করিয়া সম্ভবপর হইবে?”

 অতঃপর বুদ্ধের আদেশে আনন্দ বৈশালীর সন্নিকটবর্ত্তী ভিক্ষুদিগকে তথাকার বিহারে সমবেত হইবার নিমিত্ত আহ্বান করিলেন। সমবেত ভিক্ষুদিগকে সম্বোধন করিয়া বুদ্ধ বলিতে লাগিলেন—“ভিক্ষুগণ! আমি তোমাদের নিকটে যে ধর্ম্ম প্রচার করিয়াছি তোমরা তাহা সম্যক্ আয়ত্ত করিয়া সেই সত্যেরই সাধন কর, মনন কর। যাহাতে এই সদ্ধর্ম্ম অনন্তকালস্থায়ী হইতে পারে সেই জন্য সর্ব্বত্র ইহার প্রচার কর। সমগ্র মানবজাতির সুখকর ও কল্যাণকর এই ধর্ম্ম যাহাতে অনন্তকাল বিদ্যমান থাকে সেই উদ্দেশ্যে জীবের প্রতি অপ্রমেয় প্রতিপোষণ করিয়া তোমরা এই ধর্ম্ম প্রচার করিতে থাক।”

 “গ্রহকে শুভাশুভের কারণ বলিয়া জানা, ফলিত জ্যোতিষে আস্থা এবং নানা চিহ্নাদি দেখিয়া ভবিষ্যতের শুভাশুভ কখন প্রভৃতি নিষিদ্ধ বলিয়া জানিও।”

 “যে ব্যক্তি মনকে বাঁধিবার সংযমরশ্মি একেবারে খুলিয়া দেয়, সে কোনদিনও নির্ব্বাণলাভ করিতে পারে না। তোমরা সংযত

৫৮