পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
অন্তিম জীবন

হইবে, মনকে ভোগবিলাসের উত্তেজনা হইতে দূরে রাখিবে এবং মনকে প্রশান্ত করিবার জন্য চেষ্টিত হইবে।”

 “তোমরা পরিমিত পানাহার করিবে এবং সংযতভাবে দেহের যাবতীয় প্রয়োজন মিটাইবে। প্রজাপতি যেমন পুষ্প হইতে প্রয়োজনানুযায়ী মধুটুকুমাত্র গ্রহণ করে, ফুলের সুগন্ধ, শোভা ও দলগুলি বিনষ্ট করে না, তোমরাও তেমনি অন্যকে পীড়িত ও বিনষ্ট না করিয়া আপনাদের জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ করিবে।”

 “হে ভিক্ষুগণ! চারিটি আর্য্যসত্য এতদিন আমরা বুঝি নাই এবং প্রাণপণে সাধন করিতে পারি নাই বলিয়াই জন্মজন্মান্তর অসত্যপথে বিচরণ করিয়াছি।”

 “আমি তোমাদিগকে যে ধ্যান ও সাধনা শিক্ষা দিয়াছি তোমরা সেই ধ্যান অভ্যাস কর। পাপের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম করিতে থাক। সাধুপথে বিহরণ কর এবং শীলবান্‌ হও। তোমাদের অন্তশ্চক্ষু প্রস্ফুটিত হউক। জ্ঞানের প্রভাবে তোমাদের হৃদয় আলোকিত হইলেই তোমরা আষ্টাঙ্গিক পথ অবলম্বন করিয়া নির্ব্বাণলাভ করিতে পারিবে।”

 “আমার পরিনির্ব্বাণ লাভের দিন আসন্ন। আমি তোমাদিগকে দৃঢ়তার সহিত বলিতেছি, সংযোগোৎপন্ন পদার্থমাত্রেরই ক্ষয় হইবে। যাহা অবিনশ্বর তাহারই সন্ধান কর। অধ্যবসায় অবলম্বন করিয়া নির্ব্বাণপদ লাভ কর।”

 আসন্নমৃত্যুর শান্তি ও গাম্ভীর্য্য যখন বুদ্ধের মন আচ্ছন্ন করিয়াছিল, সেই শুভমুহূর্ত্তে তিনি তাঁহার ধর্ম্ম সংক্ষেপে শিষ্যদের কাছে ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন বলিয়া বৈশালীর উপস্থানশালায় প্রদত্ত তাঁহার

৫৯