বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
অন্তিম জীবন

তুমি কুশীনগরের মল্লদিগের নিকটে অবিলম্বে এই সংবাদ প্রেরণ কর।”

 এই সময়ে সুভদ্রনামক এক জিজ্ঞাসু পরিব্রাজক কুশীনগরে অবস্থান করিতেছিলেন। বুদ্ধদেবের আগমন ও আসন্নপরিনির্ব্বাণলাভের সংবাদ শ্রবণ করিয়া তিনি একান্ত উৎসুকচিত্তে ধর্ম্মবিষয়ক কয়কটি সন্দেহভঞ্জনের নিমিত্ত তাঁহার সহিত দেখা করিতে চাহিলেন। শালকুঞ্জে আগমন করিয়া সুভদ্র বুদ্ধের সমীপবর্ত্তী হইবার উদ্যোগ করিলেন। আনন্দ তাঁহাকে বাধা প্রদান করিয়া জানাইলেন, “মহাত্মন্‌, বুদ্ধ এখন নিরতিশয় ক্লান্ত আছেন, আপনি এমন সময়ে তাঁহাকে বিরক্ত করিবেন না।” সুভদ্রের অভিপ্রায় অবগত হইয়া বুদ্ধ কহিলেন—আনন্দ, সুভদ্রকে আমার কাছে আসিতে বারণ করিও না, তাঁহাকে এইখানে আসিতে দাও।

 সুভদ্র বুদ্ধের সমীপে উপস্থিত হইয়া তাঁহার পরিজ্ঞাত নানা বিরোধী ধর্ম্মমত জ্ঞাপন করিলেন এবং আপনার মনের সংশয় নিবেদন করিয়া মৌনী হইলেন। বুদ্ধ বলিলেন—সুভদ্র, তোমার প্রশ্নের সুমীমাংসা করিবার সময় আমার নাই। আমি তোমাকে সত্য শিক্ষা দিব, তুমি প্রণিধান করঃ—

 যে ধর্ম্মে সম্যক্‌ দৃষ্টি, সম্যক্‌ সংকল্প, সম্যক্ বাক্‌, সম্যক্ কর্ম্মান্ত, সম্যক্ আজীব, সম্যক্‌ ব্যায়াম, সম্যক্‌ স্মৃতি এবং সম্যক্‌ সমাধি এই অষ্ট আর্য্যমার্গের উপদেশ নাই সেই ধর্ম্মাবলম্বীদের মধ্যে শ্রমণ থাকিতে পারে না। এই আষ্টাঙ্গিক পথে বিহরণ করিয়া ধর্ম্মার্থীরা কল্যাণ লাভ করিতে পারেন। সুভদ্র, আমি ঊনত্রিংশ বৎসর বয়সে গৃহত্যাগী হইয়া কল্যাণের সন্ধানে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম,

 
৬৫