সম্পত্তি রক্ষা করিবার মানসে বুয়রগণ একত্র সম্মিলিত হইয়া তাহাদিগের বিপক্ষে অস্ত্রধারণ করিতে সঙ্কল্প করেন; কিন্তু গভর্ণমেণ্ট কোনরূপেই তাঁহাদিগকে কোষাগণের বিপক্ষে অস্ত্রধারণ করিতে না দিয়া, কোষাগণকে মিষ্টবাক্যে সান্তনা করিয়া সেইস্থান হইতে বিদায় করিয়া দেন। ইহাতে বুয়রগণ তাঁহাদিগের পশ্বাদি কিছুই পুনঃপ্রাপ্ত হন না; সুতরাং তাঁহাদিগকে বিস্তর ক্ষতি সহ্য করিতে হয়। বিশিষ্টরূপে ক্ষতি সহ্য করিয়া তাঁহারা রাজাজ্ঞা প্রতিপালন করেন।
গভর্ণমেণ্ট এইরূপে গোলযোগ মিটাইয়া দেওয়ায়, কোষাগণের মনে এই সংস্কার জন্মিয়াছিল যে, শ্বেতাঙ্গগণ তাহাদিগের ভয়ে ভীত হইয়া, তাহাদিগের বিপক্ষে অস্ত্র ধারণ করিতে সাহসী হন নাই। এই বিশ্বাসের উপর নির্ভর করিয়া উহারা মধ্যে মধ্যে বুয়রগণের পশু সকল অপহরণ করিয়া লইয়া যাইত। এইরূপে ক্রমাগত চারি বৎসর কাল তাহাদিগের অত্যাচার সহ্য করিতে করিতে, যখন উহা একেবারে অসহ্য হইয়া উঠিল, তখন ১৭৯৩ সালের মে মাসে কতকগুলি কৃষিজীবী বুয়র একত্র হইয়া কোষাদিগের একটা বাসস্থান আক্রমণ করিলেন ও তাহাদিগের কতকগুলি পশু বলপূর্ব্বক লইয়া আসিলেন। কোষাগণ পূর্ব্ব বিশ্বাসের উপর নির্ভর করিয়া, সেই বৎসরেই প্রবলপরাক্রমে পুনরায় মৎস্য নদী পার হইয়া, বুয়রদিগের অধিকারে প্রবেশ করিল। সম্মুখে যে সকল গৃহ দেখিতে পাইল, তাহাতে অগ্নিপ্রয়োগ করিয়া, প্রায় পঁয়ষট্টি সহস্র (৬৫০০০) পশু অপহরণ করিল, এবং কৃষিকার্য্যনিযুক্ত শ্বেতাঙ্গদিগকে দর্শনমাত্রই তাঁহাদিগের বিনাশসাধন করিতে লাগিল।